Epstein files

‘ট্রাম্পের নামে অসত্য অভিযোগ এপস্টাইন নথিতে’, এ বার দাবি মার্কিন বিচারবিভাগের! কংগ্রেসের চাপ এড়ানোর উদ্দেশ্যে?

মার্কিন বিচারবিভাগ জানিয়েছে, যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন ফাইলগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কিছু ‘অসত্য এবং চাঞ্চল্যকর’ অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) জেফ্রি এপস্টাইন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সদ্যপ্রকাশিত ফাইলগুলিতে প্রায় ৩০ হাজার নথি রয়েছে বলে মঙ্গলবার জানাল মার্কিন বিচারবিভাগ (ডিওজি)। সেই সঙ্গে ডিওজি জানিয়েছে, নতুন ফাইলগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কিছু ‘অসত্য এবং চাঞ্চল্যকর’ অভিযোগ যা ২০২০ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে এফবিআই-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত ফাইলগুলির আরও কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুসারে)। একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনকে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছেন তিনি। তাঁর দু’পাশে রয়েছেন দুই রহস্যময়ী। তবে তাঁদের মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি-সহ একটি ফাইলও। শুক্রবার ওই ফাইলগুলি জনসাধারণের দেখার জন্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে আসার এক দিন পরেই শনিবার মার্কিন ডিওজি-র ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ফাইলগুলি।

এপস্টাইন সম্পর্কিত ১৬টি ফাইল ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার পরে সোমবার ফাইলে থাকা ট্রাম্পের ছবি পুনরায় প্রকাশ করেছিল ডিওজি। বিতর্কের মুখে বিচার বিভাগের ব্যাখ্যা, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ওই ছবি প্রকাশ করা হলে যৌন অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁদের পরিচয় প্রকাশ্যে চলে আসবে। কিন্তু পরে দেখা যায়, তেমন সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার কার্যত নথির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ডিওজি। নভেম্বর মাসে মার্কিন কংগ্রেস ‘এপস্টাইন ফাইলস্‌ ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট’ পাশের মাধ্যমে ডিওজি-কে কার্যত তাদের হাতে থাকা এপস্টাইন-সম্পর্কিত সমস্ত নথি প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সেই নথিগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিওজি-র এক্স পোস্টে লেখা হল— ‘‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, নথিগুলি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। যদি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার কোনও চিহ্ন থাকত, তবে অবশ্যই সেগুলি ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement