(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় হামলার প্রতিবাদে গত দু’বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বার বার সমালোচনা করেছে ইজ়রায়েলের। পশ্চিম ইউরোপের একাধিক দেশ তেল আভিভের আপত্তি উড়িয়ে প্যালেস্টাইনকে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে গাজ়ায় নরসংহারের আবহেও ইজ়রায়েলের সঙ্গে ইউরোপের সামরিক সখ্য অটুট!
ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য প্রকাশ করে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে গাজ়া যুদ্ধের আবহে নজিরবিহীন মুনাফা অর্জন হয়েছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানিতে। ২০২৪ সালে ইজ়রায়েল প্রায় ১৫০০ কোটি ডলারের (প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রি করেছে যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
ওই পরিসংখ্যান বলছে, অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইউরোপ, এর পরের স্থানটি ভারতের। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সর্বাধিক আয় করেছে এলবিট সিস্টেমস (৬২৮ কোটি ডলার)। এর পর রয়েছে অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (৫১৯ কোটি ডলার) এবং রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস (৪৭০ কোটি ডলার)। প্রসঙ্গত, চলতি মাসে ‘ভারত-ইজ়রায়েল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ (জ়েডব্লিউজি)-এর বৈঠকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উৎপাদনে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে নতুন একটি সমঝোতা স্মারক বা মউ (মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং)-এ সই করেছে নয়াদিল্লি ও তেল আভিভ। এতে অস্ত্রের পাশাপাশি কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।