Coronavirus

বিমানযাত্রার থেকে রেস্তরাঁয় বা মুদিখানায় বেশি ঝুঁকি, করোনা নিয়ে সতর্কতা হার্ভার্ডের গবেষকদের

হার্ভার্ড গবেষকদের মতে, বেশ কিছু সুরক্ষাবিধি মেনে চললে বিমানযাত্রীরা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৭:০৫
Share:

রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপদের, দাবি গবেষকদের। ছবি: সংগৃহীত।

বিমানযাত্রার থেকে মুদির দোকানে কেনাকাটা করা বা রেস্তরাঁতে খাওয়ার ফলে করোনা-সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে ঢের বেশি। এমনটাই দাবি আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের।

চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ‘এভিয়েশন পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ’ নামের ওই গবেষণাপত্রের পর্যবেক্ষণ, অতিমারির আবহে মুদিখানায় গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করা অথবা রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপদের। সেই তুলনায় বিমানযাত্রায় বরং কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা কম।

কেন এই যুক্তি? হার্ভার্ড গবেষকদের মতে, বেশ কিছু সুরক্ষাবিধি মেনে চললে বিমানযাত্রীরা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারেন। এ বিষয়ে উৎসাহদানের জন্য সে রকম কিছু সুরক্ষাবিধির কথা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিপুল চাহিদা, উৎপাদনে ঘাটতি, থামল রাশিয়ার কোভিড টিকার প্রয়োগ

আরও পড়ুন: কোভিড রোগীর নেগেটিভ রিপোর্ট আসা মানেই কিন্তু সুস্থতা নয়

Advertisement

কী সে সুরক্ষাবিধি? গবেষকেরা জানিয়েছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বিমানযাত্রার নির্দেশিকায় বার বার হাত ধোওয়া, সর্বদা মাস্ক পরে থাকা-সহ বিমানে যাতে সব সময় ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে, তা দেখতে হবে। পাশাপাশি, বিমানে এবং বিমানবন্দরে যাতে পর্যাপ্ত হাওয়া চলাচল করতে পারে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। এ ছাড়া, নিয়মিত ভাবে বিমান পরিষ্কার রাখা এবং স্যানিটাইজ করার দিকেও জোর দিতে হবে। এই সব সুরক্ষাবিধি মেনে চললেই বিমানযাত্রায় কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রেস্তরাঁয় খাওয়া বা মুদির দোকানে যাওয়ার থেকে একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে দাবি গবেষকদের।

আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রতি ৪ জনে আক্রান্ত ১, স্ট্রোক রুখতে কী কী খেয়াল রাখতেই হবে

আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসে কী কী খাবার কীভাবে খেতে হবে

হার্ভার্ডের গবেষণাপত্রে করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে এর বিপদ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব শিক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন গবেষকরা। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘বিমানযাত্রার সময় সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে কী কী বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত, তা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিমানসংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলি। এর মধ্যে বুকিং বা চেক-ইনের সময় অথবা উড়ানে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে। বিমানকর্মীদের এ বিষয়ে নিয়মিত ট্রেনিংও দেওয়া হয়। কোনও যাত্রী কোভিড-সন্দেহভাজন হলে তাঁকে চিহ্নিত করা বা আইসোলেট করাও সেই ট্রেনিংয়ের অঙ্গ।’

তবে করোনা নিয়ে এই গবেষণাপত্রের দাবিতে জনসচেতনতা বাড়বে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার এ দেশে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮০ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫১-তে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, এ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯০ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, বিশ্বে সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৪ কোটির বেশি। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র আমেরিকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৯১। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ লক্ষ ৮২ হাজারের বেশি রোগীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন