কিছু নিয়ম মেনে আবহাওয়া পরিবর্তনেও বাঁচুন জ্বরের হাত থেকে। ছবি: শাটারস্টক।
প্যাচপেচে গরমের মাঝে হঠাৎই ফণীর আগমণ। শঙ্কা বাড়িয়েও শহরে বিরাট কোনও প্রভাব ফেলেনি ফণী। তবে এর প্রভাবে একধাক্কায় শহরের তাপমাত্রা নেমে যায় অনেকটাই। এর প্রভাবে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়ে। ক্ষণে ক্ষণে আবহাওয়ার পরিবর্তনশীল মেজাজে ভুগতে হয় আমাদের। হঠাৎ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে ঠান্ডা লেগে জ্বরের কোপে পড়েন অনেকেই।
তবে আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় যদি একটু সচেতন থাকেন, তা হলে সহজেই এড়িয়ে যেতে পারেন এমন সমস্যা। কেবল ওষুধেই নয়, সাবধানতার প্রথম পদক্ষেপ করতেই পারেন ঘরোয়া কোনও উপায়ে ভরসা রেখে। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গেলে অনেকের শরীর সেই পরিবর্তনের সহ্গে কাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে অসুখে আক্রান্ত হন।
ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান চাইলে হাতের কাছে মজুত রাখুন দু’ কোয়া রসুন আর আদা। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হানা দেওয়া নানা অসুখের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারেন সহজেই। রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান শরীরের তারমাত্রার বারসাম্য যেমন রক্ষা করে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে এর প্রভাবে।
আরও পড়ুন: ফণী থাবা বসিয়েছে আপনার এলাকায়? বিপর্যয় পরবর্তী বিপদ এড়ান এ ভাবে
হঠাৎ ঝ়ড়-বৃষ্টিতে হতে পারে নানা অসুখ, প্রতিকারের উপায় জানেন?
সর্দি-কাশি হলে নিজের জিনিসপত্র আলাদা করুন।
অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন তার রোগ ভাল না হওয়া পর্যন্ত। তার ব্যবহৃত রুমাল, গামছা বা তোয়ালে থেকে দূরে থাকুন। অসুখের সময় এক থালায় ভাত খাওয়া বা রোগীর এঁটো খাওয়ার অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। বাইরে থেকে এসে, খেতে বসার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। রোগীকে ছুঁয়েও হাত পরিষ্কার করুন। ওই অবস্থায় নাকে, চোখে বা মুখে হাত দেবেন না। সংক্রমণ ছড়াবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন প্রতি বার খাওয়ার আগে। কেউ হাঁচলে বা কাশলে তাকে মুখে চাপা দিতে বলুন। তেমনটা না ঘটলে নিজেকে পরিষ্কার করুন যত দ্রুত সম্ভব। হজমের সমস্যাকে কাবু করতে অনেকটা জল পান করুন। ঘরে ফিরেই ঠান্ডা জলে স্নান নয়, বরং গরম জলে গা স্পঞ্জ করে নিয়ে ঘাম থেকে দূরে থাকুন।