তাঁর অবসাদ কাটিয়ে ওঠার লড়াই, ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনি সকলকে মুগ্ধ করেছে। মুগ্ধ করেছে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কেরিয়ার শীর্ষে থাকার সময়ও নিজের অবসাদের কাহিনি সকলের সামনে তুলে ধরার সাহস। দীপিকার এই কাহিনি শুধু অবসাদে ভোগা মানুষদের ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণাই জোগায়নি, অবসাদ, মানসিক অসুস্থতাকে হালকা ভাবে না নেওয়ার সচেতনতাও তৈরি করেছে। এই সচেতনতা গড়ে তোলার প্রচারের উদ্দেশ্যেই এ বার ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন দীপিকা।
ইন্ডিয়ানা সাইকিয়াট্রি সোসাইটির জন্ম ১৯৪৭ সালে। বেঙ্গালুরুতে দীপিকার অলাভজনক সংস্থা লিভ লভ লাফ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটি। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘‘সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর পাশাপাশি ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক সমস্যা বাড়ছে। আমাদের উচিত একে অপরের সহযোগিতা করা। লিভ লভ লাফ ফাউন্ডেশন ও ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটি সমাজ ও সরকারের সামনে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে চায়। এমন একটা উদ্যোগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে পেরে আমি খুশি।’’
ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডা. জি প্রসাদ বলেন, ‘‘শারীরিক সমস্যা নিয়ে আমরা যে ভাবে আলোচনা করি, মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা একেবারেই স্বচ্ছন্দ নই। আমরা এমন কাউকে পেয়েছিলাম যিনি এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। দীপিকা রাজি হওয়ায় আমরা সত্যিই খুশি। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে দেশের ৫ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।’’
আরও পড়ুন: একার ঘাড়েই সংসারের আর্থিক দায়, চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পুরুষরা?