Dengue

এ বার হাজির ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস

মহা সমারোহে শীতের আগমন হলেও এখনও ফুল ফর্মে ব্যাটিং করে যাচ্ছে ডেঙ্গি ভাইরাস। দলে যোগ দিয়েছে ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, এনসেফালাইটিসও। কয়েক দিন আগের অকাল বৃষ্টির জেরে এখনও জল জমে রয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। সম্প্রতি ডেঙ্গি এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু রোগী মৃত্যুর খবর এসেছে। সেই তালিকায় কয়েকজন শিশুও রয়েছে। ডেঙ্গি এনসেফালাইটিসে শিশুদের ক্ষেত্রে কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ দিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি। পরজীবী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরের ছাদ, মাঠ, রাস্তা, জমি এ সব জায়গায় পরিষ্কার জল জমার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর ওই জলেই ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশার আঁতুড়ঘর।

Advertisement

রেশমী প্রামাণিক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:৫০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পরজীবী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরের ছাদ, মাঠ, রাস্তা, জমি এ সব জায়গায় পরিষ্কার জল জমার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর ওই জলেই ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশার আঁতুড়ঘর। জমিতে জমে থাকা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এনসেফালাইটিসের জীবণুবাহক মশা কিউলেক্স বিষ্ণোই।

Advertisement

কী এই ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস

এনসেফালাইটিস মূলত মস্তিষ্কে সংক্রমণ। প্রধানত ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। এর মূল লক্ষণ হল তীব্র জ্বর, খিঁচুনি এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। ভারতবর্ষে প্রতি বছর অনেক শিশু এই ভয়াল রোগে প্রাণ হারায়। এ দেশে প্রধানত জাপানিস বি এনসেফালাইটিস ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। ডেঙ্গিও এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ। কিন্তু ডেঙ্গি সচরাচর মস্তিষ্কে আঘাত হানে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ডেঙ্গি মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। তখন তাকে বলে ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস। অনেক সময় মস্তিষ্কে সংক্রমণের জায়গা থেকে রক্তক্ষরণও হয়। তখন তাকে বলে ডেঙ্গি হেমারেজিক এনসেফালাইটিস। এই হেমারেজিক এনসেফালাইটিস শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক এবং এতে মৃত্যুর হার খুব বেশি।

Advertisement

আরও পড়ুন: জ্বরে মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলে সাবধান

প্রাথমিক লক্ষণ

যদি দেখা যায় ডেঙ্গি রোগী ভুলভাল বকছে, ঘোরের মধ্যে আছে কিংবা দ্রুত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে তাহলে তার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে খিঁচুনি থাকলে সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল। এই অবস্থায় রোগীকে বাড়িতে ফেলে না রেখে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। অধিকাংশ সময়ে এদের আই সি ইউ তে ভর্তি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খিঁচুনি বন্ধ করার ওষুধ দিতে হয়। অনেক সময় ভেন্টিলেশনেরও প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন: চরিত্র বদল করছে ডেঙ্গির ভাইরাস

চিকিৎসা

ডেঙ্গি এনসেফালাইটিসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। মূলত উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা হয় এবং যতটা সম্ভব দ্রুত সেই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে শিশুর প্রতি সতর্ক থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। কোথাও জল জমতে দেবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন