ফুসফুসের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট৷ কিন্তু হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের মধ্যে পার্থক্য আছে৷ খুব বেশি দিন ধরে শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যানসারের ক্ষেত্রে রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে জ্বর, সর্দি লেগেই থাকে৷ মাঝেমধ্যেই জ্বর, সর্দি চললে অবজ্ঞা না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
খাবার গিলতে অসুবিধা হয়? এটা কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রথম ধাপ হতে পারে৷ অবহেলা না করে ডাক্তার দেখান।
শরীরের কোথাও আচমকা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া লিম্ফেটিক সিস্টেম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়৷ এটা ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ হলেও হতে পারে৷
পেটে ব্যথা লেগেই রয়েছে এমন হলে ভাববেন না যে ‘সিস্ট’ হয়েছে৷ এই ব্যথা কিন্তু যে কোনও ধরণের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে৷
রেক্টাম দিয়ে নিয়মিত রক্তপাত হলে সাবধান হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা কোলন ক্যান্সারের খুব সাধারণ লক্ষণ৷
ডায়েটিং বা শরীরচর্চা ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে শরীরের ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে৷ কারণ এই রোগে খেতে ইচ্ছে করে না৷ ফলে ওজন কমতে থাকে৷
কোনও আঘাত পাননি অথচ শরীরে কালশিটে দাগ দেখা গেলে সেটা লিউকোমিয়া হতে পারে৷ মুখে, ঘাড়ে বা বুকে লাল রঙের দাগ হওয়াটাও ভাল লক্ষণ নয়৷ দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়াটাও কিন্তু মোটেই ভাল কথা নয়। অনেক সময় এই সমস্যাই বিরাট বড় কোনও রোগের আভাস দিতে পারে।
কাশি ও ব্রঙ্কাইটিস- এ দুটো দীর্ঘ দিন না সারলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান। এ দু’টোই ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিউকোমিয়ার লক্ষণ হতে পারে৷ সাধারণ ব্রঙ্কাইটিস হলেও তো প্রচণ্ড কাশি ও বুকে ব্যথা হয়৷ ব্রঙ্কাইটিসের কাশি চিকিৎসার পরও ফিরে এলে, বা পুরোপুরি না সারলে, আর একটু দেখি বলে অবহেলা করবেন না৷