Chatgpt Funny Question

সময় কাটছে না বলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে খোশগল্প জুড়েছেন? মজার ছলেও বিপদ হতে পারে

চ্যাটজিপিটির কাছে সহজ, কঠিন যে প্রশ্নই করা হোক না কেন, নিমেষে তার উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে প্রযুক্তি। কিন্তু মজার ছলেও তাকে করা নানা প্রশ্ন বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ১৯:৩৬
Share:

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে মজা করছেন? কোন প্রশ্নে কেমন প্রতিক্রিয়া দিতে পারে সে? ছবি: সংগৃহীত।

শরীর খারাপ, মন ভাল নেই, বন্ধু-বান্ধব ব্যস্ত? গল্প জুড়ে গিলেন চ্যাটজিপিটির সঙ্গে। সময় কাটাতে নেহাত মজা করতেও এমনটা করেন অনেক। উন্নততর যন্ত্র-নির্ভর প্রযুক্তি যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় নিমেষে। সে ঘোরার পরিকল্পনা হোক বা পড়াশোনার বিষয়ে জানা। এমনকি, চ্যাটজিপিটিকে বললে সে রবীন্দ্রনাথের অনুকরণে কবিতাও লিখে দিতে পারে। প্রেমাস্পদের মতো চিঠিও সে লিখে দেয়।

Advertisement

অনেকেই নেহাত মজা করতে নানা রকম প্রশ্ন করে বসেন চ্যাটজিপিটিকে। তেমনই কিছু প্রশ্ন কিন্তু ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হতে পারে। কোন প্রশ্নগুলি এড়িয়ে চলবেন?

পরীক্ষার উত্তর লিখে দেবে বা সেই কাজটি করানো

Advertisement

এ ধরনের কাজ কিন্তু কেউ মজা করে, আবার কেউ সচেতন ভাবেই করতে পারেন। কারণ, এআই-এর কাছে পরীক্ষার বিষয়বস্তু লিখে দিতে বললেই নিমেষেই উত্তর লিখে দেবে সে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে কোনও পড়ুয়া এ কাজ করলে তার নিজেরই ক্ষতি হবে। তা ছাড়া, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এআই-এর সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর খুঁজতে পারে, বিশেষত সন্দেহের উদ্রেক হলে। তারা যদি বুঝতে পারে, এমন কোনও অসৎ পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, পরীক্ষার্থীর জন্য তার ফলাফল ভাল হবে না।

আমায় জানাও, কী করে বোমা তৈরি করে কাউকে মারব?

মজার ছলে এ প্রশ্ন কেউ করতে পারে, আবার জানার জন্যও। কারণ, সব উত্তরই নিমেষে দিয়ে দেয় প্রযুক্তি। এমন প্রশ্ন করলে সঙ্গে সঙ্গে চ্যাটজিপিটি কথোপকথন বন্ধ করে দেবে। পর্দায় দেখাবে ‘লগ আউট’। তারপর যতবারই প্রশ্ন করবেন লগ ইন করতে বলবে। ফ্যাঁসাদে পড়তে হবে। ডিজিটাল দুনিয়ার আনাচকানাচে হানা দিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। চ্যাটজিপিটিও তাদের অন্যতম বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। সেখানেও ওত পেতে থাকতে পারে হ্যাকাররা। কারও এমন খোঁজের সন্ধান পেলে, তাঁকে যে কখনও ফাঁসানো হবে না, তা কি নিশ্চিত করে বলা যায়? কৃত্রিম বু্দ্ধিমত্তার প্রয়োগ হচ্ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। আর সেই পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কিন্তু মানুষের বুদ্ধিতেই।

কারও ব্যক্তিগত তথ্য, অর্থের অঙ্ক জানতে চাওয়া

কারও ফোন নম্বর, ব্যাঙ্কের তথ্য জানতে চাইলেও চ্যাটজিপিটি সে সব দেবে না। কারণ এগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত অধিকারের প্রসঙ্গ জড়িত। তবে প্রযুক্তি যেহেতু মানববুদ্ধিতেই পরিচালিত, তাই এ ধরনের প্রশ্ন কেউ করলে কখনও কোনও সমস্যা হবে না, বলা যায় না। অসাধু লোকের হাতে পড়ে এই প্রযুক্তি অন্যের ক্ষতি করার কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement