কেমন আছেন আপনি?
খুব ভাল। আপনি?
ভাল। শুরু করি তাহলে?
অবশ্যই।
আর্ট অফ লিভিং ঠিক কী ভাবে আমাদের সাহায্য করে?
আর্ট অফ লিভিং-এর কাজ আমাদের চোখ খুলে দেওয়া। অন্তর্দৃষ্টি যত প্রসারিত হবে, মানুষ তত বেশি দেখতে পারবে, বুঝতে পারবে। দৃষ্টি যদি সীমিত হয় তা হলে তত দূর পর্যন্তই দেখতে পাবে। অন্তর্দৃষ্টি প্রাপ্ত হলে তবেই দৃষ্টিকোণ বদলে আসবে। এই সীমিত দৃষ্টিকে বদলানোর জন্যই ধ্যান রয়েছে, জ্ঞান রয়েছে। এই দুটো প্রাপ্ত হলে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। জীবনের সব কিছুই তখন অন্য চোখে দেখার ক্ষমতা আসে, সব কিছুই ভাল লাগে। আর্ট অফ লিভিং মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এটাই করার চেষ্টা করে।
জীবনের কোন কোন দিকে দিশা দেখাতে পারে আর্ট অফ লিভিং?
আর্ট অফ লিভিং-এর মাধ্যমে সমস্যা দেখার ধরনটাই বদলে যায়। শারীরিক অসুস্থতা, ব্যথা, ভয়, হতাশা, নেশা স্ট্রেস সব কিছুই আর্ট অফ লিভিং-এর মাধ্যমে জয় করা সম্ভব।
এটা এমন একটা সময় যখন আমরা সব কিছু নিয়েই দ্বিধাগ্রস্ত। কনফিউজড। সিদ্ধান্ত নিতে আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি। এই অবস্থায় কি আর্ট অফ লিভিং আমাদের সাহায্য করতে পারে?
একেবারেই। যখন আমরা অসুস্থ হই, তখনই ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর্ট অফ লিভিং-ই এই সমস্যার সমাধান।
আপনি স্ট্রেসের কথা বললেন। এখন অধিকাংশ সমস্যা, শারীরিক, সামাজিক, মানসিক এই স্ট্রেসের কারণেই হচ্ছে। সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে। আর্ট অফ লিভিং কি এর স্থায়ী সমাধান হতে পারে?
গত ৩৫ বছর ধরে এটাই আর্ট অফ লিভিং-এর উদ্দেশ্য। মানুষ যাতে স্ট্রেসমুক্ত জীবন কাটাতে পারে আর্ট অফ লিভিং তার জন্যই অবিরাম কাজ করে চলেছে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, কর্পোরেট সেক্টর, জেল, জঙ্গল, যেখানে প্রতিবাদী মানুষেরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তাঁদেরও জীবনে স্ট্রেসমুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা সবাই জানেন আাগামী মার্চ মাসে যমুনার তীরে ওয়ার্ল্ড কালচার ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। উদযাপনের পাশাপাশি গ্লোবাল কর্পোরেট মিট হবে। বিভিন্ন সেক্টর থেকে মানুষ আসবেন। নিজেদের জীবনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
যখন আমরা নিজেদের জীবন, সম্পর্ক, সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, বৈচিত্র নিয়ে ভাবতেই মানুষ আগ্রহী নয় তখন কি আপনার মনে হয় মানুষ সত্যিই ওয়ার্ল্ড কালচার ফেস্টিভ্যাল নিয়ে মানুষের উত্সাহ রয়েছে?
(চলবে)