Viral News

Viral Story: মায়ের অভাব বুঝতে দেননি একটুও! দেশে বসেই বিদেশে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে আগলেছেন বাবা

বাবারাও কোনও অংশে কম যান না! অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজের মেয়ের যাবতীয় খুঁটিনাটির খেয়াল রেখে এখন নেটমাধ্যমে বেশ প্রসিদ্ধ সঞ্জয় পান্ডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ২১:০৫
Share:

মেয়ে যেন মায়ের অভাব বোধ না করে, তার জন্য কোনও ত্রুটি রাখেননি সঞ্জয়। প্রতীকী ছবি।

মায়েদের ছাড়া আমরা জীবনের একটা মুহূর্তও ভাবতে পারি না। জীবনের ছোট বড় যে কোনও সমস্যা হোক মায়ের কাছে বললেই যেন তার সমাধান হয়ে যায়। আর তা হলেও সেই সমস্যার বিরুদ্ধে কী ভাবে রুখে দাড়তে হবে সেই মনোবল দিতে মায়েরাই পারদর্শী।

তবে একজন বাবাও যে কোনও অংশে কম যান না, সেই প্রমাণই দিলেন সঞ্জয় পাণ্ডে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজের মেয়ের যাবতীয় খুঁটিনাটির খেয়াল রেখে এখন তিনি নেটমাধ্যমে বেশ প্রসিদ্ধ। কী এমন করলেন তিনি? সঞ্জয় টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমার স্ত্রীর মৃত্যুর এক বছর পর আমি জানতে পারি আমার কন্যা অন্তঃসত্ত্বা। সবাই মনে করেছিল একজন বাবা হয়ে আমি মেয়ের কতখানি আর যত্ন নিতে পারব? তবে আমি একজন যোদ্ধা!’

মেয়ে যেন মায়ের অভাব বোধ না করে, তার জন্য কোনও ত্রুটি রাখেননি সঞ্জয়। ইন্টারনেট ঘেঁটে, বই পড়ে ও বড়দের পরামর্শ নিয়ে কী ভাবে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের যত্ন নিতে হয় তা শিখে নিজেকে বিশেষ ভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জটা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। কোভিডের বিধিনিষেধের জন্য তিনি মেয়ের কাছে ব্রিটেনে যেতে পারেননি। তাই ভারতে থেকেই তিনি মেয়ে কী খাবে সেই সব বিষয় খেয়াল রেখেছেন। নিজের হাতে লাড্ডু তৈরি করে পাঠিয়েছেন মেয়ের জন্য। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার শুরুর দিকে কিছুই খেতে পারছিলেন না তাঁর মেয়ে। বাবার হাতের লাড্ডু খেয়েই প্রাণ রক্ষা হয় তাঁর।

Advertisement

ভারতীয় মায়েরা তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েদের জন্য যা যা পুষ্টিকর খাবার সাধারণত তৈরি করে থাকেন, সঞ্জয়ের মেয়ে বিদেশে বসেই সেই স্বাদ উপভোগ করেছেন সঞ্জয়ের দৌলতেই। লাড্ডু বানাতে সঞ্জয় এখন সিদ্ধহস্ত! অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে এমন ১২ প্রকার লাড্ডু অনায়াসেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। সেই সব বিশেষ লাড্ডু বানাতে ঠিক কোন উপকরণ কতটা মাত্রায় লাগবে— চোখের আন্দাজেই তিনি বলে দিতে পারবেন সেই মাপ।

এখন অবশ্য তিনি মেয়ের কাছে ব্রিটেনে। কেবল মেয়েই নয়, মেয়ের সন্তানও কী খাবে আর কী খাবে না, সেই হদিশও দিচ্ছেন সঞ্জয়। একজন বাবা হয়ে মেয়ের এই অবস্থায় যত্নের কোনও ত্রুটি রাখেননি তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন