কথায় বলে, বন্ধু আর বই সংখ্যায় কম হলেও ঠিক বাছাই জরুরি। তবে দৈনন্দিন ব্যস্ততা, কাজের চাপ ইত্যাদি পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমিয়ে দেয়। ভাটা পড়ে যোগাযোগে। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও দূরের হয়ে যায়। কিছু উপায় অবলম্বন করলে কিন্তু এ সমস্যা মেটে। বন্ধুত্ব থাকে সারা জীবনই। দেখে নিন সে সব কী কী। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
বন্ধুর সঙ্গে কি দিন পনেরোয় একবার দেখা হওয়া সম্ভব? তা হলে দেখা সে দিনটা একটু বেশি সময় রাখুন হাতে। দুপুর বা রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করুন। এই সময় পুরনো কথা, ছেলেবেলার নানা নস্টালজিয়া উঠে এলে দেখবেন পুরনো বন্ধুত্বে নতুন আনন্দের ছোঁয়াচ লাগছে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
যদি পরিস্থিতি এমনই হয় যে, দিন পনেরোয় একবারও দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তা হলে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে প্রায়শই যোগাযোগ রাখুন সেই বন্ধুর সঙ্গে। মেসেঞ্জার, ভয়েস কল এ সবের সাহায্যও নিতে পারেন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বন্ধুর জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকী মনে রাখার চেষ্টা করুন। উপহার স্মৃতি বহনে ওস্তাদ। তাই সে সব দিনে উপহার পাঠিয়ে চমকে দিন বন্ধুকে। বিশেষ দিনে বন্ধুর কাছ থেকে এমন উপহার পেলে সম্পর্কে উষ্ণতা আসবে। নিজে পৌঁছতে পারলে তো ভালই, না পারলে সাহায্য নিন কোনও ক্যুরিয়ার সংস্থার। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
মানুষ সারা জীবনই কিছু পরিচিত মুখের সংস্পর্শে আসে। তাদের কারও সঙ্গে বন্ধুর হৃদ্যতা গড়ে উঠতেই পারে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিন তাদের। তাতে বন্ধুরাও নতুন বন্ধু পাবে, আর আপনার বর্তমান জগৎ, সঙ্গ এ সব সম্পর্কেও পুরনো বন্ধু অবগত থাকবেন। তাতে দু’জনেরই দু’জনকে বুঝতে সুবিধা হবে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কোনও বন্ধুর সঙ্গে কোনও কাজ করার কথা দিলে, সেই কথা রাখুন। বন্ধু যেন কখনও মনে না করেন যে, পুরনো পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে বলে, আপনি তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বরং, সে দিন অন্য কোনও কাজ এসে পড়লে তা এড়ানোর চেষ্টা করুন। একান্তই তা না পারলে দ্রুত বন্ধুর জন্য আলাদা সময় বার করুন। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
পুরনো প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কম দেখা-সাক্ষাৎ হলে, দু’জনের পরিবার একসঙ্গে কোনও বনভোজন বা বেড়ানোর পরিকল্পনা করতেই পারেন। এতে দিনের অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকার সুযোগ ঘটবে। তখন দরকারে ফিরিয়ে আনতে পারেন ছেলেবেলার কোনও মজাদার স্মৃতি। বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন এখনকার নানা কথাও। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।