বর্ষায় পোষ্যদের খুব বেশি বাইরে নিয়ে না বেরোনোই ভাল। ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষা মানেই বাড়িতে বাড়িতে রোগীর ছড়াছড়ি। এই সময় আমাদের মতোই ঠান্ডা লাগা, সর্দিকাশি, পেটের সমস্যাতে ভোগে পোষ্যরাও। বর্ষায় নিজেদের সুস্থ রাখার পাশাপাশি পোষ্যদেরও একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। জেনে নিন, ওদের সুস্থ রাখতে কী করবেন।
শুকনো রাখুন: বর্ষাকালে পোষ্যেরা অনেক সমস্যায় পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া থেকে সংক্রমণ ছাড়াও নিউমোনিয়া, সর্দিকাশির সমস্যা হয়। এই সময় তাদের খুব বেশি বাইরে নিয়ে না বেরোনোই ভাল। যদি বর্ষাকালে পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোতেই হয়, তা হলে সঙ্গে রাখুন রেনগিয়ার। বর্ষার জল থেকে যেমন ওদের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে, তেমনই ঠান্ডা লেগে জ্বরও আসতে পারে।
ঝড়ে সাবধান: কুকুরেরা ঝড়, বিদ্যুৎ চমকানোয় ভয় পায়। অনেক পোষ্য এই সময় ভয়ে কাঁপতে থাকে, আত্মরক্ষার তাগিদে কামড়েও দিতে পারে। চিকিৎসকেরা অনেক সময় পোষ্যদের অ্যান্টি-অ্যাংজ়াইটি ড্রাগ প্রেসক্রাইব করে থাকেন। এই সময় পোষ্যকে একটু বেশি সময় দিন। আদর, যত্ন ওদের ভয় কাটিয়ে দেবে।
বর্ষায় পোষ্যকে একটু বাড়তি সময় দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত স্নান: পোষ্যকে পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি দিন স্নান করানো অবশ্যই উচিত নয়। মাসে এক দিন কোনও অ্যান্টি-সেপটিক শ্যাম্পু দিয়ে অবশ্যই স্নান করান। এতে ত্বকের র্যাশ, চুলকানি আটকাতে পারবেন।
খাবার: বর্ষায় খাবার ও জল থেকে সংক্রমণ হয়েই থাকে। আমাদের মতোই ওদেরও তাই খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। ফোটানো জল দিন পোষ্যকে।
টিকা: বর্ষাকালে কুকুরের গায়ে পোকা হয়। সেই থেকেও সংক্রমণ হয়। বর্ষার শুরুতেই তাই প্রয়োজনীয় টিকা দিতে হবে পোষ্যদের।