রোজ রোজ আচার খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? ছবি: শাটারস্টক।
মাছ কিংবা মাংস খাওয়ার পর শেষপাতে একটু আচার না হলে চলে না। আলু মাখা হোক কিংবা মাছ, মাংসের ভর্তা— সঙ্গে এক চামচ আচারের তেল পড়লে তার স্বাদই বদলে যায়। পরোটার সঙ্গে আচারের জুটি যেমন জনপ্রিয়, তেমন খিচুড়ির সঙ্গেও আচার খেতে পছন্দ করেন কেউ কেউ। তবে আচার যে শুধুই স্বাদের খেয়াল রাখে, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যরক্ষাতেও আচারের ভূমিকা অনেক। আচারে থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয় আচার?
পেট ভাল রাখতে: আচারে প্রোবায়োটিক উপাদান রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। যা পেটের গোলমালের ঝুঁকি কমায়। বর্ষায় পেটের সমস্যা লেগেই থাকে, আচার কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আচারের প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আচারে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও আচার বেশ উপকারী। তাই মাঝেমাঝে খানিক ক্লান্ত লাগলে আচার খেতে পারেন, চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে: ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে গ্যাস-অম্বল, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে হজমের গোলমাল। অনেকেই হজমের গোলমাল দূর করতে নিয়মিত ওষুধ খান। এই ধরনের ওষুধ বেশি না খাওয়াই ভাল। তার চেয়ে ভরসা রাখতে পারেন আচারের উপর। আচার হজমের গোলমাল কমায়। আচার খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বাতের ব্যথা কমাতে: আচার বাতের ব্যথা-বেদনা কমাতেও উপকারী। বাতের ব্যথা থাকলে রোজের খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখতে পারেন। এই টোটকাতেই কমবে ব্যথা। আচারে থাকা বিভিন্ন উপাদান পেশির নমনীয়তা হারাতে দেয় না। ফলে ব্যথা কমানো সহজ হয়।
পেশিতে টান পড়া কমাতে: শরীরে জলের অভাবের ফলে মাঝে মধ্যেই পেশিতে টান পড়ে। নিয়মিত আচার খেলে এই সমস্যা খানিকটা কমে। আচারে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেশিতে টান পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।