বেগুনে বীজ আছে কি না, বুঝবেন কী করে? ছবি: এআই।
নাম বেগুন হতে পারে। তবে সে বে-গুণ অর্থাৎ গুণহীন মোটেই নয়। সামান্য পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা এই সব্জি ওজন কমানো থেকে শুরু করে মাথা, পেট, হার্টেরও স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে, বলছেন পুষ্টিবিদেরা।
বাংলা-সহ ভারতের সমস্ত প্রদেশেরই কিছু না কিছু নিজস্ব বেগুনের স্বাদু পদ রয়েছে। বাঙালিদের দই-বেগুন, বেগুন-পোস্তের মতো, বেগুনি, আবার কোথাও রয়েছে ভারওয়া বেঙ্গন, কোথাও বেঙ্গন মশালা, বেঙ্গন ভর্তা, বেঙ্গন কারি, খট্টে বেঙ্গন— তালিকা শেষ হওয়ার নয়। এর পাশাপাশি বেগুন ভাজা, বেগুন পোড়া তো রয়েছেই। শীতে দিনে টাটকা বেগুন দিয়ে বেগুন পোড়া কিংবা ভাজা বানিয়ে নিলে তাই দিয়েই ভাত-রুটি খাওয়া হয়ে যায়, সঙ্গে আর কিছুই লাগে না।
শীতের মরসুমে বাজারে গেলেই বেগুনের ছড়াছড়ি। তবে অনেক সময়েই টাটকা মনে হলেও বাড়িতে আনলে দেখা যায়, সেই বেগুন মোটেও তাজা নয়, পোকাভর্তি। বাজারে বেগুন কেনার সময় কী ভাবে বুঝবেন, সেগুলি আদৌ ভাল কি না।
১) প্রথমেই বেগুনগুলি হাতে তুলে দেখুন। বেগুনে হালকা চাপ দিলে যদি নরম মনে হয়, তা হলে বুঝবেন, সেটি টাটকা। পুরনো বেগুন শক্ত হয়ে যায়। সেই বেগুনের স্বাদও ভাল হয় না।
২) বেগুন হাতে নিয়ে দেখুন, বেগুনের গায়ে ফুটো আছে কি না। বেগুনের গায়ে ফুটো থাকার অর্থ, তাতে পোকা থাকবেই। অনেক সময় বেগুন পোড়া রান্নার সময় না কেটেই পুড়িয়ে ফেলা হয়। বেগুনের গায়ে ফুটো থাকলে সেই বেগুন না পোড়ানোই ভাল।
৩) বেগুনের ডাঁটি সবুজ রঙের মানে, সেটি তাজা বেগুন, তাতে পোকা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর যদি কালো হয়, তা হলে তা তিন-চার দিনের পুরনো হতেই পারে।
৪) অনেকেই বীজের ভয় বেগুন খেতে চান না। বেগুনের বীজের কারণে অনেকের মুখে চুলকানি হয়। বেগুন হাতে তুলে দেখুন, তার ওজন কী রকম। বেগুন যদি ভারী হয়, তা হলে বুঝবেন বেগুনে বীজভর্তি, সেই বেগুন না কেনাই ভাল। আর বেগুন হালকা হলে বুঝবেন, সেই বেগুনে বীজ নেই। এমন বেগুন রান্না করলে মুখে দিলেই মিলিয়ে যায় মাখনের মতো, স্বাদও ভাল হয়।
৫) বেগুন যদি অনেক দিনের পুরনো হয়, তবে রং ফ্যাকাশে ও হালকা হয়। কাজেই সব সময় গাঢ় রঙের চকচকে বেগুন কিনুন। বেগুন লম্বা হলে সে বেগুনের স্বাদ ভাল হয়। গোল বেগুনও কিনুন, তারও স্বাদ ভাল হয়।