discipline

সন্তান কোনও নিয়মই মানতে চায় না? শাসন না করেই সমাধান করুন এ ভাবে

কিছু কৌশল জানলে ধমক-মারধর না করেও শিশুকে নিয়মানুবর্তী করে তোলা যায়। জানেন কী কী?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:০৫
Share:
০১ ০৯

শৈশব থেকেই যে সব অভ্যাসে রপ্ত হয়ে ওঠে আপনার সন্তান, সে সবের রেশ থেকে যায় বড় হয়েও। অনেক অভিভাবক চান, শিশুকে ছোট থেকেই নিয়মানুবর্তী করে তুলতে। কিন্তু বয়সের ধর্ম মেনেই শিশুরা খুব একটা নিয়মের ধার ধারে না। এর জন্য শাসনও কম জোটে না তাদের। কিন্তু কিছু কৌশল জানলে ধমক-মারধর না করেও শিশুকে নিয়মানুবর্তী করে তোলা যায়।

০২ ০৯

কোনও শিশুর পক্ষেই নিজে নিজে ঠিক-ভুলের তফাত করা সম্ভব নয়।তাই ছোট থেকেই তাকে ঠিক-ভুলের ফারাক করতে শেখান। কোন কাজ কখন করতে হয়, কোন কাজ পরে করলেও চলে এগুলো সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে দিন ছোট থেকেই।

Advertisement
০৩ ০৯

কেবল কাজের সময় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করাই নয়, শিশুকে বুঝতে দিন সময়ের কাজ সময়ে না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে। সে সব সমস্যার সমাধান করে দিলেও শিশুকে বোঝান কেন প্রতিটি কাজ নিয়ম মেনে সময় অনুযায়ী করতে হয়। তা হলে ভবিষ্যতে কোনও নিয়ম ভাঙার আগে শিশুও সচেতন থাকবে।

০৪ ০৯

সন্তান কোনও কাজ নিয়ম মেনে করলে তার প্রশংসা করুন, উৎসাহ দিন। শিশু তার অভিভাবকদের কাছ থেকেই প্রশংসা পেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। এতে সে পরবর্তী কালে আরও অনেক কাজই এমন দক্ষতায় করতে চায়। ফলে নিয়মানুবর্তী হওয়ার সঙ্গে তার দক্ষতাও বাড়ে।

০৫ ০৯

মারধর বা শাসন একেবারেই নয়। বরং এতে ফল বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত শাসনে শিশু মনে মনে হতাশ হয়ে পড়ে। তার চার পাশ সম্পর্কেও খারাপ ধারণা গড়ে ওঠে। আত্মবিশ্বাস তো হারায়ই, সঙ্গে নিজের অভিভাবকের প্রতিও এক ভীতির জন্ম হয় তার মনে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভয় উদ্ধত হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।

০৬ ০৯

দিনে কত ক্ষণ সময় দিচ্ছেন শিশুকে? তার যে কোনও ভাল গুণ বিকাশের ক্ষেত্রে এই দিকটি অত্যন্ত জরুরি। শিশুর স্কুল-বন্ধুবান্ধব-নানা ব্যস্ততা ইত্যাদি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় কেবল শিশুর জন্যই বরাদ্দ রাকুন। আপনার সঙ্গে শিশুর সম্পর্ক যত বন্ধুত্বপূর্ণ হবে ততই সে অভিভাবকদের বাধ্য হবে এবং নতুন কিছু শিখতে তৎপর হবে।

০৭ ০৯

নিয়মানুবর্তী করে তুলতে গলে ছোট থেকেই কিছু কিছু কাজের দায়িত্ব শিশুকে দিতে হবে। এমন কিছু কাজ সংসারেও থাকে, যা এক জন শিশুও করে ফেলতে পারে অনায়াসে। তেমন কিছু সহজ ও হালকা কাজের দায়িত্ব তার উপর দিন। তাতে ও সে এক দিকে যেমন দায়িত্ববান হতে শিখবে, তার সঙ্গে সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলতেও সচেষ্ট থাকবে।

০৮ ০৯

শিশুর সামনে কিন্তু তার অভিভাবকরাই সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তাই নিজেরাও তার সামনে এমন কিছু করবেন না, যাতে সেখানে নিয়ম ভাঙার অনুশীলন প্রকাশ্যে আসে। বরং সন্তানকেও বুঝতে দিন যে তার অভিভাবকরাও যথেষ্ট নিয়মানুবর্তী। এই দৃষ্টান্ত সামনে এলে সে নিজেও এমন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে চাইবে নিজেকে।

০৯ ০৯

কোনও ভাবেই সমস্যা না মিটলে কিংবা বহু চেষ্টাতেও শিশুকে নিয়মানুবর্তী না করে তুলতে পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট ও মনোস্তত্ত্ববিদের সাহায্যে শিশুর মনের কোণের সমস্যাগুলো অনুধাবন করুন। সেই অনুযায়ী তাকে গড়ে তুলুন। এটি তার নিয়মানুবর্তী হওয়ার পথে আরও কিছুটা এগিয়ে দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement