ভিডিও-র একটি দৃশ্য
‘তোমার সাথে পারবো না মা,
যুদ্ধে আমি ফিনিশ...!!!’
আশ্বিনের শারদপ্রাতে, অসুর বধ করে, মা পাড়ি জমিয়েছেন মর্তে। আবেগ, উত্তেজনায় ভরপুর, বাঙালির দেশে পড়ে গিয়েছে হুলুস্থুলু। আগেভাগে সমস্ত প্ল্যানিং সেরে, এক্কেবারে রেডি বাঙালি জাতি। সেই সঙ্গে রেডি পেটপুজোর লিস্টিও....
সারা বছর ধরে ঠিক এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। জাস্ট একবার ভেবে দেখুন, বন্ধুর কাছ থকে বছরের প্রথম ক্যালেন্ডার পেয়ে আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া ঠিক কেমন হয়? কোনও কিছু না দেখে আপনি সটান চলে যান সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের পাতায় আর হিসেব কষে নেন ছুটির। কথায় আছে, বাঙালি বছরভর আয় করে এই চারদিন হাত খুলে খরচ করার জন্য। আর তার বেশিরভাগটাই খরচ হয় খাওয়ার পিছনে।
দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়া মানেই বাঙালির অন্তরে ঘুমিয়ে থাকা অসুরও যেন জেগে ওঠে। যতই কঠিন ডায়েটে থাকুক না পুজোর এই চারটে দিন যেন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াটা ম্যান্ডেটরি। ক্ষিচুরি থেকে আলুর দম, পোলাও থেকে কষা মাংস, পটল পোস্ত, থেকে ধোকার ডালনা, ভেটকি মাছ থেকে সর্ষে ইলিশ - বাঙালির কাছে এ যেন স্বর্গের থেকে কম কিছু নয়।
আর বাঙালি রান্না মানেই সরষের তেলটা মাস্ট। আর তা যদি হয় কাচ্চি ঘানি - আহা! আহা! বাঙালির হেঁশেলের কিছু থাক বা না থাক সরষের তেল থাকবেই। ফরচুন কাচ্চি ঘানি সরষের তেল-এ রয়েছে সেই সমস্ত গুণ, ঝাঁঝ ও গন্ধ, যা যে কোনও বাঙালি খাওয়ারের স্বাদ এক ঝটকায় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
বাঙালির এই ভোজনরসিকতার কথা মাথায় রেখেই গত বছরের মতো এই বছরেও ফরচুন কাচ্চি ঘানি-এ বার দুর্গা পুজোয় এনেছে সকলের জন্য 'আবার পেট পুজো সং'। প্রখ্যাত, ইউটিউব ভ্লগার সায়ন দত্ত গেয়েছেন এই গানটি। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোয় খাওয়া-দাওয়ার যে কী মাহাত্ম্য, তা অসাধারণভাবে ব্যক্ত হয়েছে এই গানে।
ইতিমধ্যেই ফেসবুকে বেশ ভালই প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে ভিডিওটির। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার লোক রিয়্যাকশন দিয়েছে ভিডিওতে এবং ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ৯৫০০-এরও বেশি বার।
আপনিও আর বাদ যাবেন কেন? গানটি শুনুন, দেখুন এবং শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে।