Life style news

কাঁদুনে থেকে কাকতাড়ুয়া, এ রকমও পেশা হয়!

আত্মীয়স্বজন কেউই নন, তবুও তাঁর মৃত্যুতে কাঁদতে হবে! বা উজ্জ্বল পোশাক পরে হাতে একটা লাঠি নিয়ে সারা দিন পাখি তাড়িয়ে বেরাতে হবে। বা পোষ্যের খাবার প্যাকিং হওয়ার আগে তা চেখে দেখে নিতে হবে ঠিকঠাক কি না! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এরকম পেশাও আছে। গ্যালারিতে রইল এমনই অদ্ভুত ৭ পেশা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ১৪:৪৮
Share:
০১ ০৮

আত্মীয়স্বজন কেউই নন, তবুও তাঁর মৃত্যুতে কাঁদতে হবে! বা উজ্জ্বল পোশাক পরে হাতে একটা লাঠি নিয়ে সারা দিন পাখি তাড়িয়ে বেরাতে হবে। বা পোষ্যের খাবার প্যাকিং হওয়ার আগে তা চেখে দেখে নিতে হবে ঠিকঠাক কি না! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এরকম পেশাও আছে। গ্যালারিতে রইল এমনই অদ্ভুত ৭ পেশা।

০২ ০৮

জেনিওলজিস্ট: বিভিন্ন বংশের পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহে রাখাই এঁদের কাজ। এই পেশা হরিদ্বারে হিন্দু পরিবারে খুবই প্রসিদ্ধ। পাণ্ডা বলা হয় এঁদের। সেখানে প্রায় প্রতিটা হিন্দু পরিবারেরই নির্দিষ্ট কিছু পাণ্ডা থাকে। যাঁদের কাছে ওই পরিবারের প্রত্যেকের জন্ম তারিখ, মৃত্যু সবটাই নথিভুক্ত থাকে।

Advertisement
০৩ ০৮

গোঁফওয়ালা দ্বাররক্ষক: যাঁরা রাজস্থান গিয়েছেন তাঁরা এই পেশার সঙ্গে ভীষণই পরিচিত। হোটেলে ঢোকার মুখেই দেখে থাকবেন জব্বর পাকানো গোঁফ নিয়ে দরজা আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন এই দ্বাররক্ষকরা। এখন শহর কলকাতাতেও হোটেল, রেস্তরাঁর বাইরে এমন দ্বার রক্ষকের দেখা মেলে।

০৪ ০৮

কাকতাড়ুয়া: ফাঁকা চাষের জমির মধ্যে হাঁড়িতে কালি দিয়ে মুখ-চোখ-দাঁত আঁকা আর বাঁশের শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাকতাড়ুয়ার সঙ্গে আমরা পরিচিত। পাখির উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষকেরা এই পদ্ধতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি মানুষ কাকতাড়ুয়াও হয়? ২০১২ সালে বিবিসি-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে ২২ বছরের মিউজিকে স্নাতক ছাত্র এ রকমই কাজ পেয়েছিলেন।

০৫ ০৮

পেশাদার কাঁদুনে: শবযাত্রায় কাঁদার জন্য টাকা নিয়ে থাকেন এই পেশার মানুষেরা। সাধারণত রাজস্থানে এই পেশা দেখতে পাওয়া যায়। এঁদের রুদালী বলা হয়। কালো পোশাক পরে শবযাত্রায় কাঁদেন এঁরা।

০৬ ০৮

পোষ্যের ফুড টেস্টার: এমন পেশা থাকবে নাই বা কেন? যতটা নিজের খাবারের হাইজিন এবং স্বাদ নিয়ে সতর্ক, ঠিক ততটাই তো পোষ্যের খাবার নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। আর তার জন্যই প্রয়োজন ফুড টেস্টারের। পোষ্যের খাবারের গুণগত মান থেকে স্বাদ-সবটাই পরীক্ষা করেন এই ফুড টেস্টাররা।

০৭ ০৮

কান পরিষ্কার করা: ধারানো স্টিলের সূচ, তুলো আর প্রিন্সার। এগুলোই এই পেশার যন্ত্রপাতি। সাধারণত রাস্তার ধারে বা স্থানীয় বাজারে একটা কাঠের বাক্স নিয়ে বসে থাকেন এঁরা। তবে কলকাতা শহরে সংখ্যায় খুবই কম আছে এই পেশাদাররা।

০৮ ০৮

শবদেহের চিত্রগ্রাহক: বিশেষ করে বারাণসীতে এই পেশার রমরমা আছে। শ্মশান ঘাটে মৃতের ছবি তুলে থাকেন এঁরা। ছবি পিছু ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা আয়ও করে থাকেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement