পুষ্টিগুণে ভরপুর স্বাস্থ্যকর খাবারও সুস্বাদু হয়। শুধু জানতে হবে তৈরি এবং খাওয়ার কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে পুষ্টিতে নজর দিতে হবে। তবে বহু মানুষেরই ধারণা, পুষ্টিকর খাবার মানেই সে সব বিস্বাদ, খেতে হয় বলেই খাওয়া।
বাস্তব ছবিটি তার সঙ্গে মেলে না একেবারেই। বরং পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাবার সময় ভাবনা প্রয়োজন। কী খাচ্ছি, কেন খাচ্ছি, কতটা খাব বুঝে নিজের স্বাদ অনুযায়ী রান্না করাই যায়।
কষা মাংসের বদলে কবাব রোল
মাংস কষিয়ে তেল, ঝাল, মশলা দিয়ে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই অনেকের হজমের সমস্যা হয়।বদলে মুরগির মাংস জল ঝরানো টক দই, আদা-রসুন বাটা, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে, ননস্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে সময় নিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নেওয়া যায়। কিংবা এয়ার ফ্রায়ারেও কবাব বানানো যায়। গমের আটা বা রাগির আটার রুটিতে কবাবের টুকরো গুলিয়ে দিয়ে পেঁয়াজ, লঙ্কা, পাতিলেবুর রস, চাট মশলা ছড়িয়ে রোল করে নিতে পারেন। এক খাবারে পেট ভরবে, আবার প্রোটিন, ফাইবারের দাবিও পূরণ হবে। খেতেও হবে সুস্বাদু।
সাদা চালের বদলে ব্রাউন ফ্রায়েড রাইস
ব্রাউন রাইস দিয়েও বানানো যায় ফ্রায়েড রাইস। ছবি: সংগৃহীত।
সাদা চালের বদলে ঢেঁকি ছাঁটা চাল বা ব্রাউন রাইস দিয়ে ফ্রায়েড রাইস বানানো যায়। রকমারি সব্জি তো আছেই, মুরগির মাংসের টুকরো, চিংড়ি দিলেই রাইসের স্বাদ বাড়বে। আবার নিরামিষ খেলে সেদ্ধ সুইটকর্ন, টোফু বা পনির যোগ করতে পারেন। একটি খাবারই প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— সব কিছুর চাহিদা মেটাবে।
ভাজাভুজির বদলে অঙ্কুরিত মুগের স্যালাড:
অঙ্কুরিত মুগ অল্প নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিন। কাঁচা মুগের স্বাদ ভাল লাগলে, সেটি দিয়েও স্যালাড হতে পারে। পাতিলেবুর রস, সৈন্ধব নুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, শসা কুচি, ধনেপাতা যোগ করুন। ছড়িয়ে দিন চাট মশলা। প্রোটিনে ভরপুর মুগ স্যালাড প্রাতরাশ অথবা সান্ধ্য খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।