উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে মূল চিন্তার কারণ কী?
উচ্চ রক্ত চাপ হল ‘সাইলেন্ট কিলার অব হার্ট’। ধীরে ধীরে নিঃশব্দে হার্টকে অকেজো করে তুলতে পারে। শুধু হার্ট নয় ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে কিডনি বা মস্তিষ্কেরও।
এর কারণ কী?
আসলে আমাদের ধমনী বা আর্টারিগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা শাখায় বিভক্ত হতে থাকে। ধমনীর এই ছোট ছোট শাখাগুলিকে আর্টেরিওল বলে। আর্টেরিওলের সংখ্যা যত বাড়ে ধমনীগুলোতে তত স্প্যাজম হতে থাকে। রক্তের চাপ বাড়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। অনেক সময় সেরিব্রাল ব্লিডিং শুরু হয়ে যায়।অন্যদিকে অনেক সময় কিডনির সমস্যা থাকলেও রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।
এর কী কোনও লক্ষণ আছে? আগে থেকে কী কোনও ভাবে প্রিকশন নেওয়া যায়?
চুল পাকা যেমন আগে থেকে আটকানো যায় না, উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও বিষয়টা খানিকটা সে রকমই। এর নির্দিষ্ট কোন সিম্পটম্স নেই। নিয়মিত ভেবে চেকআপে থাকা প্রয়োজন।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কী কী করা প্রয়োজন?
সব থেকে জরুরি নিয়মিত ওষুধ খাওয়া। এক বার এই সমস্যা ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়মিত ভাবে ওষুধ খাওয়া আবশ্যক। এ ছাড়া নিয়মিত মর্নিং ওয়াকও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ ১২০/৮০ ধরে রাখা প্রয়োজন।
ডায়েটে কী পরিবর্তন আনতে হবে?
কোনও ভাবেই পাতে কাঁচা নুন খাওয়া চলবে না। মুড়ি, তেলেভাজার মতো যে সমস্ত খাবারে অতিরিক্ত নুন থাকে সেগুলো সচেতন ভাবে এড়িয়ে যেতে হবে। রান্নায় নুনের পরিমাণ কমান, তবে একেবারে বাদ দেবেন না। ভারতের মতো দেশে খাবারে একেবারে নুন না দেওয়া হলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখানে ঘাম অনেক বেশি হয়। খাবারে একদম নুন বন্ধ করলে শরীরে আয়নের সামঞ্জস্য নষ্ট হতে পারে।
লাইফস্টাইলে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে?
অতিরিক্ত স্ট্রেস কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। একটু প্ল্যান করে কাজ করতে হবে। একটা দিন শুরু হওয়ার আগে মোটামুটি রুটিনটা ছকে ফেলা প্রয়োজন। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্য অনেক সময় স্ট্রেস বাড়িয়ে দেয়। বাবা-মায়েদের বলব, সন্তানদের নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। অকারণ রক্তচাপ বাড়িয়ে কী লাভ?