শুধু টাকা-পয়সা আর স্বাচ্ছন্দ্যই নয়, চাকরির হাত ধরে আসে অবসাদও। প্রতিদিনের একঘেয়ে কাজ করতে করতে মানসিক কষ্টে ভোগেন মানুষ। আর সেই কষ্ট থেকে অবসাদ গ্রাস করে অনেককে। দেখে নেওয়া যাক, কোন চাকরিতে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
সেবাকর্মী: আর্ত মানুষের সেবার কাজটাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন অনেকে। কিন্তু এই কাজের জন্য হতে হয় সহনশীল, পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করতে গিয়ে, অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে থাকতে থাকতে অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
রেস্তরাঁকর্মী: প্লেটে গরমা-গরম খাবার পড়লেই হাপুস-হুপুস খেতে শুরু করি আমরা। কিন্তু সেই খাবার যাঁরা সার্ভ করেন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেউই অত ভাবেন না। অথচ সমীক্ষা বলছে, কম মাইনে, হাড়ভাঙা খাটুনি, ঊর্ধ্বতনের খারাপ ব্যবহারের ফলে অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
সমাজকর্মী: সেবাকর্মীদের মতোই প্রভূত মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয় সমাজকর্মীদেরও। ফলে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অবসাদে ভোগেন বেশি।
চিকিৎসক: মনে পরে ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ছায়াছবিটির কথা? সেখানে মানসিক রোগীর শুশ্রুষা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খোদ তাঁরই নার্স, ছবির নায়িকা— সুচিত্রা সেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থেরাপিস্ট, নার্স, চিকিৎসকরাও অবসাদে আক্রান্ত হন সহজেই। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মানুষদের সেবা করতে করতে অনেক সময় মানসিক রোগ গ্রাস করে তাঁদের।
সাফাইকর্মী: এই ধরনের চাকরিতেও দ্রুত একঘেয়েমি চলে আসে। যাঁরা সেই একঘেয়েমি থেকে বেরতে পারেননা, অবসাদ তাঁদেরই বেশি গ্রাস করে।