Gardening Tips

অল্প লাগে বলে পড়ে থেকে শুকিয়ে যায়, এমন কোন গাছ বাগানে রাখলে টাটকা জিনিস সহজে মিলবে

বিভিন্ন রকম রান্নার স্বাদ বাড়ায় নানা রকম পাতা। ফ্রিজে সেগুলি সব সময় সংরক্ষণ করা যায় না। তার বদলে বাড়িতেই রাখুন তিন গাছ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৩
Share:

বাগানে তিন গাছ রাখলে বছরভর উপকার মিলবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

এমন অনেক জিনিস আছে রান্নায় অল্প পরিমাণে প্রয়োজন পড়ে। বাড়িতে এনে রেখে দিলে, প্রয়োজন অল্প হয় বলেই কখনও কখনও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।এমন সমস্যার সমাধানে বাড়িতেই বসান এমন গাছ, যেখান থেকে ইচ্ছামতো পাতা তুলে রান্নায় ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

কারিপাতা: দক্ষিণ ভারতীয় রান্না কারিপাতা ছাড়া ভাবাই যায় না। কারিপাতার ব্যবহার এখন বাঙালি হেঁশেলেও হয়। সব রান্নায় অবশ্য এই পাতাটি ব্যবহার হয় না। তবে কেউ শখ করে দক্ষিণ ভারতীয় কোনও পদ রাঁধলে দরকার হয় কারিপাতার। বাজার থেকে এক আঁটি কারিপাতা এনে রাখলে বড়জোর ১০-১২ দিন ভাল থাকবে। তার বদলে বাড়িতেই গাছ করুন। প্রয়োজন মতো হাতের কাছেই মিলবে টাটকা পাতা। কারিপাতার গাছের বৃদ্ধির জন্য মাটি, কম্পোস্ট এবং কোকোপিট সমপরিমাণে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। নিয়ম করে ডালপালা ছাঁটলে এবং মাঝেমধ্যে জৈব সার প্রয়োগ করলেই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

ধনেপাতা: ঝাল হোক বা ঝোল— একটু ধনেপাতা কুচিয়ে দিলেই স্বাদ-গন্ধ বেড়ে যায়। শীতেই মূলত এই সব্জি মেলে। তবে বাড়িতে গাছ করলে প্রয়োজনমতো ধনেপাতা তুলে রান্নায় দিতে পারা যাবে। তা ছাড়া, ফ্রিজে রাখা পাতা আর টাটকা পাতার গন্ধে ফারাক থাকবেই। জলেই এটি বড় করা যায়। একটা কানা উঁচু পাত্র বা ডেকচিতে জল দিয়ে, তার উপর জালি দেওয়া ঝুড়ি রাখুন। বীজ ছড়িয়ে দিন উপর থেকে। দেখবেন, বীজ যেন শুকিয়ে না যায়। উপর থেকে ভিজে সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সূর্যের আলোয় রাখুন। আট-দশ দিন পর দেখবেন, চারা বেরিয়েছে। ২০-২৫ দিনে ধনেপাতায় ভরে যাবে। পরিচর্যার জন্য রান্নাঘরের বর্জ্য পদার্থ থেকে তৈরি তরল সার ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ দিন অন্তর জল বদলে দিতে ভুলবেন না।

Advertisement

পুদিনাপাতা: গরমের দিনে শরবত হোক বা চিকেন কবাবের সঙ্গে সবুজ চাটনি, একটু পুদিনাপাতা মাঝেমধ্যেই দরকার হয়। বাড়িতেই পুদিনা গাছ বসাতে পারেন। পরিচর্যাও বেশ সহজ। মাটি ছাড়া জলেও বেড়ে ওঠে গাছটি। প্রথমেই পাতা-সহ পুদিনার কয়েকটি সতেজ ডাঁটি সুতো দিয়ে মোটা করে বেঁধে নিন। বোতল বা হোক প্লাস্টিকের পাত্রে জল ভরে ডাঁটির অংশটি ডুবিয়ে রাখুন। বোতলটি হালকা রোদে রাখতে হবে। তা হলেই দেখা যাবে ডাঁটির নীচ থেকে শিকড় গজাচ্ছে। দুই-তিন দিন অন্তর জল পাল্টে নিন খুব সাবধানে, শিকড়ের ক্ষতি না করে।

দিন কয়েকের মধ্যে শিকড় বাড়তে থাকবে, পুদিনার ডাঁটি থেকেও ডালপালা বেরোবে। মাঝেমধ্যে শুধু জল বদলে দিতে হবে। শিকড় অতিরিক্ত লম্বা হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে জল থেকে বার করে তার তলদেশ কাঁচি দিয়ে কেটে দিন। আবার জলে রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পুদিনাপাতা পেতে ‘প্রুনিং’ বা কাটছাঁট করা জরুরি। পুদিনা গাছের ডাঁটিগুলি উপর থেকে ২ ইঞ্চি মাপে কেটে ফেলুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement