শীতের বাগিচায় লাগুক লাল, নীল, হলুদের ছোঁয়া, কোন ফুলের গাছ বসালে বাগান হবে বর্ণময়

শীত মানেই রঙিন ফুল। কোন কোন গাছ বাগানে বসালে রামধনুর সাত রঙের মতো বর্ণময় হয়ে উঠবে বাগিচা?

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৬
Share:

শীতের ফুল বাগিচা মানে রঙের মেলা। ফুলের কি কমতি আছে? তবে সব সময় বাগানের পিছনে অনেকটা সময় দেওয়া যায় না। অল্প যত্নে বেড়ে উঠবে আবার নানা রকম ফুলও হবে, এমন কোন ধরনের গাছ বাগানে লাগাতে পারেন?

Advertisement

প্যানজ়ি

লাল, হলুদ, নীল রঙের উজ্জ্বল ফুল, তারই মধ্যে হলুদ, সাদার ছিটে। প্যানজ়ি ফুটে থাকলে দূর থেকে মনে হবে বাগানে যেন ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি এসে বসেছে। ৮-১০ ইঞ্চি টব প্যানজ়ির জন্য ভাল। তবে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা শুরু থেকেই পোক্ত হওয়া দরকার। সাধারণ মাটি, কোকোপিট এবং ভার্মিকম্পোস্ট বা গোবর সার মিশিয়ে এই গাছের মাটি তৈরি করতে হবে। তার সঙ্গে যোগ করুন কিছুটা বালি। বালি থাকলে গাছের গোড়ায় সহজে জল জমবে না।দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যের আলোয় রাখা দরকার। গাছে কুঁড়ি এলে ২-৩ সপ্তাহ অন্তর সার প্রয়োগ করা দরকার।

Advertisement

পিটুনিয়া

লাল, সাদা, সাদা-নীল, রংবাহারি পিটুনিয়া ফুটে থাকলে দেখতে দারুণ লাগে। বাড়ি হোক বা বাগান— সৌন্দর্য বদলে দিতে পারে গাছভর্তি পিটুনিয়া। পিটুনিয়ার মাটি তৈরির জন্য দু’ভাগ জৈব সার, এক ভাগ মাটি এবং এক ভাগ কোকো পিট মিশিয়ে নিতে হবে। গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি হতে পারে। তাই টব অথবা ছড়ানো প্লাস্টিকের পাত্র, যাতেই গাছ বসান না কেন, ছিদ্র থাকা জরুরি। মাটি দেওয়ার সময় নীচে ছোট পাথর দিয়ে দিতে পারেন। এতে ছিদ্র দিয়ে মাটি যেমন বেরিয়ে যাবে না, তেমনই জলও জমবে না। গাছ বড় হয়ে গেলে অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন। গাছ বেড়ে ওঠার সময়ে ৪-৬ সপ্তাহ পরে তরল জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন।

গাঁদা

শীতের বাগান হলুদ-কমলা গাঁদা ছাড়া অসম্পূর্ণ। শীত আসার শুরু থেকেই চারা রোপণ পর্ব শুরু করা দরকার। গাঁদা গাছের জন্য অন্তত ছয় ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার বা ভার্মি কম্পোস্ট গাছের জন্য ভাল। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার, যেন জল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা টবের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। গাছের গোড়ায় জল জমলে, শিকড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডালপালা সঠিক কৌশলে ছাঁটতে হবে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম গাঁদা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক।

স্ন্যাপড্রাগন

বাগানের রূপ বদলে দেবে এই গাছ। নানা রঙের হয় ফুলগুলি। ১০-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই গাছের জন্য আদর্শ। স্ন্যাপড্রাগন গাছের বেড়ে ওঠার জন্য ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। শীতই ফুল ফোটার মরসুম। জৈবসার মিশিয়ে শুরুতেই মাটি তৈরি করে নিন। ফুল ফোটা শুরু হলে এক মাস অন্তর খোলপচা সার দিতে পারেন।

চন্দ্রমল্লিকা

শীতের বাগান চন্দ্রমল্লিকা ছাড়া অসম্পূর্ণ। চন্দ্রমল্লিকার জন্য দরকার পর্যাপ্ত সূর্যালোক। চারা লাগানোর আগে মাটি ভাল ভাবে তৈরি করাটা জরুরি। সে জন্য প্রথমে শুকনো মাটি গুঁড়ো করে তাতে গোবর সার, নিম খোল, বাদাম খোল, সামান্য পরিমাণে মহুয়া খোল মেশাতে হবে। তিন মাস মতো এই মাটি রাখার পরে চারা রোপণ করলে গাছের ফলন ভাল হবে। ফুল বেশি ফুটবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement