Gardening in Flat

৫ কৌশল: মেনে চললে শীতের ঠান্ডায় ঝিমিয়ে পড়া টবের গাছ দ্রুত চাঙ্গা হবে

একেই শীতে দিনের দৈর্ঘ্য কম। তার উপর কখনও আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, কখনও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। তাই ঘরের ভিতর, বাসার ছাদে কিংবা বারান্দায় রাখা টবের গাছগুলির অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২২
Share:

সকালের রোদ লাগতে দিন গাছের গায়ে। ছবি: প্রতীকী

কনকনে ঠান্ডায় যে শুধু আমাদেরই সমস্যা হয় এমন নয়, কাহিল হয়ে পড়ে টবের গাছও। একেই শীতে দিনের দৈর্ঘ্য কম। তার উপর কখনও আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়, কখনও আবার ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। প্রকৃতির এমন আচরণে কখনও কখনও শুকিয়ে যায় মাটি। তাই ঘরের ভিতর, বাসার ছাদে কিংবা বারান্দায় রাখা টবের গাছগুলির অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে।

Advertisement

১. পর্যাপ্ত সূর্যালোক: শীতে দিনের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তাই বাড়ির গাছগুলি যাতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় তাই, টবগুলিকে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে যথেষ্ট আলো হাওয়া রয়েছে। বিশেষ করে সকালের রোদ লাগতে দিন গাছের গায়ে। তবে শীত যদি খুব বেশি হয়, ছোট টবগুলি ঘরের ভিতরেই রাখুন। পরদিন সকালে বারান্দায় রোদে দিন।

২. জল কম: বহু গাছই শীতে কম বাড়ে। তাই গরমকালের মতো জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কাজেই টবের গাছে অতিরিক্ত জল দেবেন না। কুয়াশার কারণে ছাদে থাকা গাছের টবের মাটি ভিজে যায়। যা সহজে শুকোয় না। ফলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাটি পরীক্ষা করেই জল দিন। পাতার রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে জল না দিয়ে মাটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সূর্যের আলোতে গাছ রাখুন।

Advertisement

বহু গাছই শীতে কম বাড়ে, তাই গরমকালের মতো জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ছবি: সংগৃহীত

৩. ঘরের উষ্ণতা: মানিপ্ল্যান্ট বা ক্যাকটাসের মতো গাছ অনেকেই ঘরের ভিতরে রাখেন। বাড়িতে হিটার থাকলে তার কাছাকাছি গাছ রাখতে পারেন। তবে গরম হলকা যেন না লাগে, সে কথা মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, দরজা কিংবা জানলার পাশে গাছ না রাখাই ভাল। কারণ, জানালা দিয়ে অনেক সময়ে ঠান্ডা হওয়া আসে, যাতে গাছের ক্ষতি হতে পারে।

৪. ধুলোবালি পরিষ্কার: শীতের সময়ে বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই গাছের গায়ে বাড়তি ধুলো জমতে পারে। পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন ধুলো। তা ছাড়া, শীত বেশি হলে অনেক গাছ মরে যেতে পারে। এমন হলে গাছ খানিকটা ছেঁটে দিতে পারেন।

৫। সার: শীতকালে প্রচুর শাকসব্জি আসে বাড়িতে। সেই সব্জির খোসা ফেলে না দিয়ে সেগুলি পচিয়ে তৈরি করতে পারেন সার। সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন ফেলে দেওয়া চা-পাতা ও ডিমের খোসা। এ সার বেশ উপকারী। দেখবেন, অল্প দিনে কোনও রাসায়নিক ছাড়াই সতেজ হয়ে উঠবে আপনার শখের গাছ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন