অগোছালো ঘর কম সময়ে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার সহজ টিপ্স। ছবি: ফ্রিপিক।
পুজোর ক’দিন বন্ধুবান্ধবের আড্ডা, আত্মীয় সমাগমে ঘরবাড়ি ফের অগোছালো হয়েছে। দিনের শেষে ঘরে ঢুকে এখানে জিনিস, ওখানে ডাঁই করে রাখা পোশাক, অগোছালো টেবিল দেখতে মোটেও ভাল লাগছে না। পুজোর হুল্লোড় শেষে এ বার ঘর গোছানোর পালা। সামনেই লক্ষ্মীপুজো। হাতে সময় কম। কম সময়ে অগোছালো ঘরদোর সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়ার কিছু উপায় জেনে রাখুন।
কম সময়ে ঘর গোছানোর টিপ্স
বসার ঘর
সবার আগে বসার ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খেলনা, বই, কাগজপত্র, জামাকাপড়গুলি সঠিক জায়গায় রাখুন। জামাকাপড় ভাঁজ করতে সময় লাগবে, তাই সেগুলি আলমারিতে তুলে রাখুন। বইয়ের তাকে বই ও অফিসের কাগজপত্র ব্যাগে ভরুন। সোফা, কুশনের কভার বদলে দিন।
অতিথির মন কেড়ে নেওয়ার আরও একটি উপায় হতে পারে রুম ফ্রেশনার কিংবা সুন্দর গন্ধ দেওয়া মোমবাতি। ঘরে এমন সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে কম গোছানো ঘরও দেখতে ভাল লাগবে।
শোয়ার ঘর
বিছানা পরিষ্কার করে বেডকভার বদলে ফেলুন। বালিশ ও কুশনের কভার বদলান। এত দিন যে পর্দাগুলি ছিল, সেগুলি খুলে নতুন পর্দা লাগান। বিছানার চাদর, বেডকভার খুব জমকালো হলে দেখতে ভাল লাগে না। হালকা রঙের সুতির বিছানার চাদর দেখতেও ভাল লাগে, আরামদায়কও হয়। শোয়ার ঘরের জানলার মাপে নেটের পর্দা ঝুলিয়ে দিন। তার উপরেই লম্বা ঝুলের পর্দা ঝোলান। লম্বা পর্দা সরিয়ে রাখলেও নেটের পর্দা ঘরকে আড়াল রাখবে। সুন্দর বেডকভার পেতে কয়েকটা কুশন রেখে দিন বিছানার উপরে। দেখতে খুবই ভাল লাগবে।
খাটের পাশের টেবিলে কোনও বই, আলো বা পুতুল থাকলে সেগুলির উপরও ধুলো জমে থাকে, সেগুলি পরিষ্কার করে নিন। আলাদা একটা বাক্স বা ড্রয়ারে যাবতীয় কাগজ, ওষুধ, জরুরি জিনিস গুছিয়ে রাখুন। টেবিলের উপর বা খাটের পাশের ছোট জায়গায় এগুলি ফেলে রাখবেন না।
ফুল ও আলো
বাড়িতে পুজোর আমেজ আনতে চাইলে ফুলের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। তবে, সব সময়েই যে দামি অর্কিড দিয়েই সাজাতে হবে, তার কোনও মানে নেই। দরকার হলে কুচো ফুল ও আবির দিয়ে রঙ্গোলি বা আলপনা আঁকুন বাড়ির নানা অংশে। প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালান সঙ্গে। ইদানীং বহু রকমের আলো পাওয়া যায়। দামও কম। জ্বালিয়ে দিন ঘরে। দেওয়াল থেকে ঝুলিয়ে দিন কৃত্রিম লতানে গাছ, তার গায়ে আলো ঝুলিয়ে দিতে পারেন। এতেও ঘরের ভোল বদলে যাবে।