তুলসী গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
গৃহস্থের অন্দরে তুলসী গাছ খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। এক দিকে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আয়ুর্বেদে তুলসীর একাধিক গুণাগুণ বর্ণিত হয়েছে। আবার ধর্মীয় উপচারের জন্যও বাড়িতে অনেকে তুলসী গাছ রাখেন। কিন্তু লক্ষণীয়, খুব সহজেই এই গাছ মরে যায়। সামান্য অযত্নে বা ঋতু পরিবর্তনের সময়ে তুলসী পাতার রং বদলে যায়। আবার তুলসী গাছে সহজেই পোকা ধরতে পারে।
১) সূর্যালোকের উপস্থিতিতে তুলসী গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়। তাই বাড়িতে গাছের টব এমন জায়গায় রাখা উচিত, যেখানে অন্তত ৫ ঘণ্টা সূর্যালোক থাকবে। অনেকেই বাড়ির ভিতরে বা বারান্দার এক কোণে গাছ রাখেন। এ রকম ক্ষেত্রে দ্রুত গাছটি শুকিয়ে যেতে পারে।
২) তুলসী গাছে কখনও পোকা ধরতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে এক দিন অন্তর ভেজা কাপড় দিয়ে গাছের পাতা পরিষ্কার করা যেতে পারে। সপ্তাহে এক বার নিমতেল এবং জল মিশিয়ে গাছে স্প্রে করলেও পোকামাকড়ের সমস্যা মিটবে।
৩) তুলসী গাছের বৃদ্ধির জন্য খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না। তবে গাছের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কেউ চাইলে জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। মাসে এক বার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। তার ফলে তুলসীর আয়ু সহজেই বৃদ্ধি পাবে।
৪) তুলসী গাছের শিকড়ের জন্য আর্দ্র মাটি উপযুক্ত। কিন্তু এই গাছে বেশি জল দিলে, তা পচে যেতে পারে। গ্রীষ্মকালে গাছে বেশি জলের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু শীতকালে বেশি জল দেওয়া উচিত নয়। টবে গাছ থাকলে, অতিরিক্ত জল যাতে নীচের ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, তা খেয়াল রাখা উচিত।
৫) তুলসী গাছ বড় হওয়ার পর তা সময় মতো ছাঁটা উচিত। তার ফলে গাছের বৃদ্ধি সহজ হবে। গাছের উচ্চতা বৃদ্ধির পর নিয়মিত হলুদ পাতা এবং পচা ডাল কেটে দেওয়া উচিত। তুলসী গাছের মঞ্জরীও ছেঁটে ফেলা যায়। তার টবে নতুন গাছের চারা তৈরি হবে না।