বারান্দার টেরাকোটার সাজ। ছবি : সংগৃহীত।
কর্মরতদের ব্যস্ত জীবনে বারান্দায় যাওয়ার সময় হয় না বিশেষ! ঘর থেকে বাইরে আর বাইরে থেকে ঘর। কিন্তু যাঁরা বাড়িতে থেকে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করেন, দিনভর কাজের ফাঁকে তাঁদের নিজের মতো করে কিছু সময় কাটানোর জায়গা বারান্দা। সেই বারান্দাকে একটু মনের মতো করে সাজিয়ে নিলে কেমন হয়? ফ্ল্যাটের ঘর-দালানের একঘেঁয়েমির বাইরে হাতের নাগালেই একটু অন্যরকম অনুভব পেতে বারান্দাকেই বানিয়ে নিন আড্ডা দেওয়ার ঠিকানা। বসন্তে সেই বারান্দার সজ্জায় শিল্পের ছোঁয়া আনতে ব্যবহার করতে পারেন টেরাকোটার সাজগোজ।
ছবি : সংগৃহীত।
দেওয়ালের রং: দেওয়ালে টেরাকোটা রং ব্যবহার করতে পারেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারেন ধূসর বা বেজ বা মাটির রং। বারান্দায় সাধারণত ৩টি বা দু’টি দেওয়াল পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দু’টি দেওয়ালে রঙের বৈপরীত্য রাখুন। তবে খুব বেশি হালকার সঙ্গে খুব বেশি গাঢ় রঙের মিশেল না রাখাই ভাল।
দেওয়াল সজ্জা: টেরাকোটার টালি বা দেওয়ালে সাজানোর ফলক কিনতে পাওয়া যায়। নানারকম মুখোশও পাওয়া যায়। সেই সব দিয়ে সাজিয়ে নিন কোনও একটি দেওয়াল।
ছবি : সংগৃহীত।
বসার জায়গা: কাঠের বসার জায়গা বা বেতের চেয়ার রাখতে পারেন। সঙ্গে কুশনে থাক পোড়ামাটির রঙের ছোঁয়া।
টব: বসন্তের বারান্দায় থাক সবুজালি। তবে সেই সবুজালি সাজিয়ে দিন টেরাকোটারই টবে। বিভিন্ন আকারের টেরাকোটার টব পাওয়া যায়। পছন্দমতো বেছে নিয়ে সাজিয়ে রাখুন বাহারি গাছ।
ছবি : সংগৃহীত।
শিল্প: টেরাকোটার হাতি, ঘোঁড়া, আরও নানারকম মূর্তি কিনতে পাওয়া যায় হস্তশিল্প মেলাতেই। বারান্দার এক কোনে সাজিয়ে রাখতে পারেন সেরকম কোনও জিনিস।
পর্দা: টেরাকোটার ছোট বড় পুঁতির ঝালর দিয়ে তৈরি ‘পর্দা’ ঝোলাতে পারেন দরজায়।