তুলসী গাছের মাকড়ের হানা রুখবেন কী ভাবে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
তুলসী গাছে কখনও কখনও পাতা কুঁকড়ে যায়, গাছ ঝুলে ভরে যায়। ভাল করে লক্ষ করলে পোকা-মাকড়ের আনাগোনাও টের পাওয়া যায়। এমনটা হলে গাছ বাঁচবে কী ভাবে?
উদ্যানপালকেরা বলেন, তুলসী গাছে স্পাইডার মাইটস বা লাল মাকড় হানা দেয় অনেক সময়। এগুলি খুব ক্ষুদ্র আকৃতির কীট। এই ধরনের কীট বাসা বাঁধলে পাতার উপর ফ্যাকাশে বা হলুদ রঙের ছিট ছিট দাগ দেখা যায়। পাতা হলুদ হয়ে বা কুঁকড়ে যেতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত ঝরে পড়ে। এদের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো পাতার নীচে বা ডালপালায় সূক্ষ্ম, রেশমের মতো জাল তৈরি করা। এই জালের মধ্যেই তারা ডিম পাড়ে এবং লুকিয়ে থাকে।
গাছে কীটনাশক দিয়ে লাল মাকড় মারার পথ আছেই। তবে তা পরিবেশবান্ধব নয়। চাইলে ঘরোয়া উপায়ে প্রথমে মাকড় নাশের চেষ্টা করতে পারেন।
১. জল দিয়ে ধুয়ে অপসারণ
জল দিয়ে স্প্রে করে সরাসরি মাকড় এবং মাকড়সার জালগুলো গাছ থেকে সরিয়ে দিন। আক্রান্ত পাতাগুলো সাবধানে তুলে ফেলে দিন, যাতে অন্য পাতায় সংক্রমণ না ঘটে।
২. নিমতেলের মিশ্রণ
১ লিটার জলে ৫ মিলিলিটার নিমতেল এবং কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে তুলসী গাছের আক্রান্ত পাতাগুলির নীচের দিকে ভাল করে স্প্রে করুন। মাকড়গুলি সাধারণত পাতার নিচের দিকেই বেশি থাকে। প্রথম বার স্প্রে করার ২-৩ দিন পরে আরও এক বার স্প্রে করলে ভাল ফল পাবেন।
৩. হলুদজল
একটি পাত্রে ১ লিটার জল নিন এবং তাতে ১ টেবিল চামচ হলুদ ভাল ভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করতে পারেন।
মনে রাখা দরকার
পাতার নীচে স্প্রে: স্প্রে মিশ্রণটি পাতার নীচের দিকে যেন ভাল ভাবে পৌঁছোয়, কারণ এখানেই মাকড় বা মাইটরা লুকিয়ে থাকে।
পরীক্ষা করে দেখা: কোনও নতুন মিশ্রণ পুরো গাছে স্প্রে করার আগে, একটি ছোট পাতায় স্প্রে করে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। যদি পাতাটি পুড়ে না যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তবেই পুরো গাছে ব্যবহার করুন।
সকালের দিকে স্প্রে: সন্ধ্যার পরে বা খুব সকালে স্প্রে করা ভাল, এতে গাছের ক্ষতি কম হয় এবং মাকড়ের উপর প্রভাব বেশি পড়ে।
যদি জৈব পদ্ধতিতে কাজ না হয়, তবে উদ্যানপালকদের পরামর্শ নিয়ে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন, যেমন সালফার (জল মিশিয়ে)।