ভাত দিয়ে তৈরি হবে গাছের সার! কী ভাবে? ছবি:ফ্রিপিক।
জবাগাছে ফুলের সংখ্যা কমে গিয়েছে? স্নেকপ্ল্যান্ট ঠিকমতো বেড়ে উঠছে না? আলো-হাওয়ার অভাব নেই। নিয়ম করে জল দেন। পোকাও ধরেনি। তবু কেন ফুলের অভাব ভাবছেন? পুষ্টির অভাবও এ জন্য দায়ী হতে পারে। গাছের ‘খাবার’ দেওয়া হয় সারের মাধ্যমে। জৈব, রাসায়নিক দুই ধরনের সারই পাওয়া যায়। তবে চাইলে ঘরে রাঁধা ভাতও মাটির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে কাজে লাগাতে পারেন।
মানুষের শরীরে যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জ়িঙ্ক, সোডিয়ামের মতো খনিজের প্রয়োজন হয়, তেমনই গাছের দরকার হয় নাইট্রোজ়েন, ফসফরাস, পটাশিয়ামের। আর এ সবই মিলতে পারে চাল অথবা ভাত থেকেও।
বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন সার?
মজিয়ে নেওয়া বা ফারমেন্টেড চালের জলে থাকে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। একটি কাচের পরিষ্কার পাত্রে একমুঠো ভাত নিয়ে সেটি জল দিয়ে পূর্ণ করে দিন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে ঘরের কোনও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন। তবে তিন-চার দিন অন্তর জল দেখতে হবে। তাতে যদি কালো বা অন্য রঙের কোনও ছত্রাক বা কিছু চোখে পড়ে তা হলে জল ফেলে দিয়ে আবার একই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করতে হবে। সে রকম কিছু না হলে দিন সাতেক বা দশ দিন পরে জল ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন।
এটি সরাসরি ব্যবহার করা যাবে না। ফারমেন্টের চালের জলের সঙ্গে সমপরিমাণ খাবার জল মিশিয়ে নিন। তার পর সেটি গাছের মাটিতে দিতে পারেন।
ফ্যান: ভাতের ফ্যান ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলবন্দি করে সেটিও গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে তাতে যেন নুন বা অন্য কোনও উপাদান মিশে না থাকে। ফ্যান গরম অবস্থায় কোনও ভাবেই গাছে দেওয়া যাবে না।
চালের জল: ভাত রান্নার আগে অনেক বাড়িতেই চাল ধুয়ে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা হয়। এতে চালে থাকা স্টার্চ বা শ্বেতসার জলে মিশে যায়। এই জলেও চালের পুষ্টিগুণ যোগ হয়। গাছের গোড়ায় চালের জলও দিতে পারেন।
সব্জি, সাকুলেন্ট, অন্দরসজ্জায় ব্যবহৃত গাছ, কোনও কোনও ফুলের গাছেও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে জলে বেড়ে ওঠে যে গাছ, সেই গাছে এই জল ব্যবহার না করাই ভাল।