পুজোর আগে হেঁশেলের ভোল বদলে ফেলুন। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই নতুন পোশাক, নতুন জুতো, নতুন চুলের কাট— নিজের ভোল একেবারে বদলে ফেলা। তবে শুধু নিজের নয়, উৎসবের আগে বাড়ির অন্দরসজ্জারও ভোল বদলে ফেলতে হবে বইকি। তবে কেবল বসার ঘরের সাজগোজের দিকে নজর দিলেই চলবে না, সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে হবে বাড়ির সব কোনা। পুজোতে রোজ ভূরিভোজ হবেই। আর ভূরিভোজের ঠিকানা তো হেঁশেল। সেই জায়গাটি না সাজালে চলে! তাই পুজোর আগে আপনার হেঁশেলেও আনুন নতুনত্বের ছোঁয়া।
রান্নাঘর সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলে, রান্না করতেও যেন বাড়তি আনন্দ হয়। পুরনো রান্নাঘরে চমক আনবেন কী করে?
১) পুরো রান্নাঘরে রং করা খুবই সময়সাপেক্ষ, খরচসাপেক্ষও বটে। তাই দেওয়ালের রং বদল না করে বিভিন্ন কারুকাজের ওয়াল পেপার বা স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা রান্নাঘরের আলমারির পাল্লাগুলি স্প্রে পেন্টের সাহায্যে রাঙিয়ে দিতে পারেন। তা হলে রান্নাঘরের পুরো সাজ বদলে যাবে।
২) রান্নাঘরে কিছু মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন। কাচের বোতলে একটু রং-তুলি দিয়ে এঁকে নিন। তার মধ্যেই সাজিয়ে রাখুন মানিপ্ল্যান্ট।
৩) রান্নাঘরের দেওয়ালে নানা রকম মজার পোস্টার বাঁধিয়ে রাখতে পারেন। রান্না সংক্রান্ত কিছু উক্তিও বাঁধিয়ে রাখতে পারেন। তাতে পুরনো দেওয়ালগুলিও নতুন প্রাণ পাবে।
৪) রান্নার সরঞ্জামে বদল আনতে পারেন। পুরনো হাতা-খুন্তি বদলে একটু অন্য ধরনের রং-বেরঙের রান্নার সরঞ্জাম কিনে সাজিয়ে রাখতে পারেন রান্নাঘরের কাউন্টারে। রান্নাঘরের তাক তো ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করে ফেলেছেন। এ বার তাতে রাখা কৌটোগুলিও একটু বদলান। বাজারে মশলাপাতি রাখার জন্য অনেক আকর্ষণীয় কৌটো দেখতে পাবেন। নতুন কৌটোয় সাজিয়ে ফেলুন তাক। তাকের চেহারাই বদলে যাবে।
৫) হেঁশেল মানে তাতে কি কেবল রান্নার জিনিসই রাখতে হবে? তার কোনও মানে নেই। ছোটখাটো শো-পিস দিয়েও দেওয়াল সাজাতে পারেন। হাতে সময় থাকলে রান্নাঘরে ছোট ছোট ঝুলন্ত আলো লাগান। হলুদ এই আলো রান্নাঘরের চরিত্রে অভিনবত্ব আনবেই।