ঝরাপাতা কাজে লাগানো যায় নানা ভাবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
কিছুদিন পরেই শুরু হবে শীতের মরসুম।শীত মানেই পাতা ঝরার সময়। সেই সময় বিভিন্ন গাছের পাতা ঝরে যায়। অত পাতা কোথায় ফেলবেন, কী করবেন, তা নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। কেউ সেই পাতা জড়ো করে পুড়িয়ে দেন।
তবে এই পাতা লাগানো যায় বাগানের কাজেই। সার তৈরি থেকে আরও নানা কাজে তা কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
মালচিং: ঝরা পাতা জড়ো করে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিন। কিছু পাতা পচে তা থেকে যেমন সার হবে, তেমনই পাতার চাদর আচ্ছাদনের কাজ করবে। গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মায়। নিয়ম করে তা পরিষ্কার করলেও আবার মাথাচাড়া দেয়। আগাছা গাছের পুষ্টিতেও ভাগ বসায়। গাছের গোড়ায় পাতার চাদর বিছিয়ে দিলে, রোদ, আলো-হাওয়ার অভাবে আগাছা মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাবে না। তা ছাড়া গাছের পাতা দিয়ে এই ভাবে আচ্ছাদন দিলে মাটির আর্দ্রতাও বজায় থাকে। খুব ঠান্ডার জায়গায় মাটি ততটাও ঠান্ডা হতে দেয় না পাতার পুরু স্তর।
সার: শীত আসার আগে থেকে ঝরা পাতা জমানো শুরু করুন। একটি পাত্রে পাতা জমাতে থাকুন। শুধু পাতা পচিয়ে ভাল সার হবে না। সারে কার্বন এবং নাইট্রোজেনের ভারসাম্য থাকা জরুরি। সেই কারণে, ফলের শুকনো খোসা, শাকসব্জির খোসাও এর মধ্যে মেশাতে শুরু করুন।
সবুজ এবং বাদামি বর্জ্য পরিবেশ বান্ধব অনুজীব তৈরিতে সাহায্য করে।
এর সঙ্গে নিম খোল বা গোবর যোগ করলে সারের গুণমান বৃদ্ধি পাবে।
সার তৈরি হতে ৭-৮ সপ্তাহ সময় লাগে। তা কালচে বাদামি বর্ণে পরিণত হলে এবং মাটির মতো গন্ধ বরোলে বুঝতে হবে সার তৈরি হয়ে গিয়েছে।