ঠিক কতক্ষণ ন্যাপ নিলে বাড়বে এনার্জি, স্মৃতিশক্তি?

পাওয়ার ন্যাপ। কথাটা আমরা অনেকেই শুনেছি। কাজে লাগানো গেলে নাকি দারুণ বেড়ে যায় কর্মক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই ন্যাপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা স্পষ্ট নেই। আবার অনেকেই জানি না ঠিক কী ভাবে, কতক্ষণ ন্যাপ নিলে তা শরীরের পক্ষে উপযোগী। জেনে নিন এমনই কিছু তথ্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:০৯
Share:

পাওয়ার ন্যাপ। কথাটা আমরা অনেকেই শুনেছি। কাজে লাগানো গেলে নাকি দারুণ বেড়ে যায় কর্মক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই ন্যাপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা স্পষ্ট নেই। আবার অনেকেই জানি না ঠিক কী ভাবে, কতক্ষণ ন্যাপ নিলে তা শরীরের পক্ষে উপযোগী। জেনে নিন এমনই কিছু তথ্য।

Advertisement

পাওয়ার ন্যাপের অসুবিধা

ন্যাপ সকলের জন্য নয়। অনেকেই ন্যাপের সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে পারেন, অনেকেই আবার ন্যাপের কারণে সমস্যায় পড়েন। দুটো সবচেয়ে বড় সমস্যা হল স্লিপ ইনারশিয়া ও রাতে জেগে থাকা। ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকেই স্লিপ ইনারশিয়ায় ভোগেন। শরীরের আলস্য কাটিয়ে আবার কাজে ফিরতে অসুবিধা হয়। আবার ঘুমের প্যাটার্নে হঠাত্ পরিবর্তন হওয়ায় রাতে অনেকেই ইনসমনিয়ায় ভোগেন।

Advertisement

কেন এমনটা হয়?

সেটা বুঝতে গেলে জানতে হবে ঘুমের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে:

প্রথম স্তর: এই স্তর সবচেয়ে কম সময় স্থায়ী হয়। আমরা জাগ্রত অবস্থা থেকে ঘুমের স্তরে পৌঁছে যাই।

দ্বিতীয় স্তর: এই স্তর সবচয়ে দীর্ঘ সময়ের। সরল ও জটিল মোটর স্কিল উন্নত হয়। এনার্জি ও স্নায়ুর কর্মক্ষমতা বাড়ে এই স্তরে।

তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর: এই সময় শরীরের টিস্যুর ক্ষয়পূরণ হয়, স্ট্রেস কমে, ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় স্মৃতি মুছে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে কাজ করে মস্তিষ্ক।

র‌্যাপি়ড আই মুভমেন্ট: এটা সর্বোচ্চ স্তর। এই স্তরে শর্ট টার্ম মেমরি, লং টার্ম মেমরিতে ট্রান্সফার হয়। তাই সম্পূর্ণ ঘুমের জন্য এই স্তর পর্যন্ত পৌঁছনো প্রয়োজন।

১০ থেকে ২০ মিনিট

সতর্কতা ও এনার্জি বাড়ানোর জন্য এই পাওয়ার ন্যাপ আদর্শ। যেহেতু কম সময়ের ন্যাপ নন-র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপের সময় কমে। ফলে ঘুম থেকে ওঠা সহজ হয়। সেই সঙ্গেই যেহেতু এই সময়ের মধ্যে আমরা ঘুমের দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছে যেতে পারি তাই সারা দিনের স্ট্যামিনাও বাড়ে।

৩০ মিনিট

এই সময়ের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছে যাই। শরীর তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরে গিয়ে ঘুম সম্পূর্ণ করতে চায় কিন্তু তার আগেই উঠে পড়লে স্লিপ ইনারশিয়া, হ্যাঙ্গওভারের মতো অনুভূতি হয়।

৬০ মিনিট

ঘটনা, চেহারা ও নাম মনে রাখার জন্য এই সময়সীমার ন্যাপ সবচেয়ে উপকারী। যদিও ঘুম ভাঙার পর একটু অলস লাগে।

৯০ মিনিট

এটা ঘুমের সম্পূর্ণ সাইকেল। যেখানে হালকা ও গভীর স্তরে পৌঁছে যাই। এতে ইমোশন যেমন উন্নত হয়, তেমনই স্মৃতিশক্তি ও ক্রিয়েটিভিটিও বাড়ে। ৯০ মিনিট ঘুমোলে স্লিপ ইনারশিয়ার সম্ভাবনা যেমন কম, তেমনই ঘুম থেকে উঠে পড়াও সহজ হয়।

আরও পড়ুন: এই কারণগুলোর জন্যই মেয়েরা বেশি পরকীয়ায় জড়ান!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন