stress free highly paid jobs

৫ কাজ: মিলবে মোটা বেতন, আবার মানসিক শান্তিও বজায় থাকবে

কখনও মোটা বেতনের জন্য, আবার কখনও ভাল সংস্থায় কাজ করার ইচ্ছায় নিজের বাকি শখ জলাঞ্জলি দিতে হয়। বদলে কি জীবনে শান্তি পাওয়া যায়?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ১৯:৩০
Share:

এমন কোনও কর্মক্ষেত্র আছে যেখানে মানসিক চাপ থাকবে না আবার ভাল বেতনও হবে? ছবি: সংগৃহীত।

স্কুল, কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর সকলেই জীবিকার সন্ধান করেন। কারও ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। বেসরকারি ক্ষেত্রে কখনও মোটা বেতনের জন্য, আবার কখনও ভাল সংস্থায় কাজ করার জন্য নিজের শখ জলাঞ্জলি দিতে হয়। সঠিক সময়ে কাজে ঢোকা, প্রত্যেক মাসে টার্গেট পূরণ করা, না পারলে ঊর্ধ্বতনের চোখরাঙানি— সবই কর্মজীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে বাড়তে পারে স্ট্রেস। কিন্তু এমন কোনও কর্মক্ষেত্র আছে যেখানে মানসিক চাপ থাকবে না আবার ভাল বেতনও হবে?

Advertisement

১) লাইব্রেরিয়ান

শুধু পাড়ার সরকারি পাঠাগার নয়। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বহুজাতিক সংস্থাতেও পাঠাগার পরিচালনা করার জন্য কর্মী প্রয়োজন হয়। অন্যদের বই খুঁজে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা, গবেষণার কাজও করে ফেলতে পারেন। শান্ত নিরিবিলি, ‘টার্গেট’হীন পরিবেশে কাজ করতে চাইলে, এই ক্ষেত্রটি বেছে নিতে পারেন। তার জন্য লাইব্রেরি সায়েন্স নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর হলেই চলবে।

Advertisement

২) অডিয়োলজিস্ট

জন্মগত বা দুর্ঘটনায় শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেললে বা বিশেষ ভাবে সক্ষমদের কানে কোনও সমস্যা হলে অডিয়োলজিস্টের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পড়াশোনা করতে হয়।

কাজ করবেন কিন্তু জীবনে চাপ থাকবে না? ছবি: সংগৃহীত।

৩) ফুড টেকনোলজিস্ট

খাবারের মান বা স্বাদ উন্নত করার জন্যও বিভিন্ন সংস্থা কর্মী নিয়োগ করে। ফুড টেকনোলজিস্ট হিসাবে কাজ করতে গেলে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর করে থাকতে হবে।

৪) মিউজ়িক থেরাপিস্ট

কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ পিছু ছাড়ছে না? মিউজ়িক থেরাপি কাজে দিতে পারে। তবে মন ভাল রাখতে শুধু পছন্দের গান চালিয়ে দেওয়াই কিন্তু মিউজ়িক থেরাপিস্টের কাজ নয়। জাগতিক সব আক্ষেপ, দুঃখ ভুলিয়ে শরীর এবং মনকে শান্ত করাতে পারেন দক্ষ এক জন মিউজ়িক থেরাপিস্ট। তবে এ দেশে মিউজ়িক থেরাপি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ কম।

৫) পুষ্টিবিদ

আজকাল প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পুষ্টিবিদ থাকেন। নীরোগ শরীরের জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বয়স এবং শারীরিক সুবিধা-অসুবিধা পর্যালোচনা করে কে কী খাবেন, কতটা পরিমাণ খাবেন, তা নির্ধারণ করে দেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ দেশে রয়েছে। পড়াশোনা শেষ করার পর ভাল বেতনের চাকরিও মেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন