প্রতি দিনের ডায়েট ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ সবই তো থাকে আমাদের। কিন্তু তাতে কি প্রয়োজনীয় সব রকম পুষ্টি জোগান হয়? কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সঠিক পরিমাণে শরীরে পৌঁছলেও থেকে যায় কিছু কিছু ঘাটতি। যে কারণে সারা জীবন পুষ্টিকর খাবার খেয়েও একটু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে আসা, বাতের ব্যথা, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগি আমরা। ডায়েটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টি জোগাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ও শক্তি বাড়াতে ডায়েটের সঙ্গে প্রতি দিন কিছু সাপ্লিমেন্ট খাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। এমনই ৩ গুরুত্বপূর্ণ সাপ্লিমেন্টের কথা জেনে নিন।
মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট
পুষ্টির জন্য ডায়েটে যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট থাকা প্রয়োজন, সুস্থ থাকতে তেমনই প্রয়োজন ভিটামিন, মিনারেল। যা শরীরে উত্সেচকের কার্যকারীতা বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল খাবার থেকেই পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য ডায়েটে থাকা প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ ফল ও শাকসব্জি। অথবা রোজ খান মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট।
ভিটামিন ডি
বেশির ভাগ মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টের মধ্যে ভিটামিন ডি থাকে না। শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে ভঙ্গুর হাড়, ইনসমনিয়া, ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন ডি শরীরে হরমোনের সাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অভাব হলে মরসুম বদলের সময় অবসাদ, মুড সুইংয়ের সমস্যা হতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলো ত্বকে এসে পড়লে তা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬৫ শতাংশ ভারতীয় শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগেন। বাকি ১৫ শতাংশের শরীরেও পরিমাণের তুলনায় কম রয়েছে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-র সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে প্রতি দিন ভিটামিন ডি৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। প্রতি ৪ সপ্তাহে ৬০কে আইইউ ডোজ দিয়ে শুরু করে প্রতি দিন ১০০০-২০০০আইইউ পর্যন্ত সাপ্লিমেন্ট খান দিনে।
অশ্বগন্ধা
প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদে বড় জায়গা দখল করে রয়েছে অশ্বগন্ধা। স্ট্রেস যখন আধুনিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে তখন গবেষকরা জানাচ্ছেন অশ্বগন্ধার মধ্যে রয়েছে শরীরে কর্টিসোল নামক স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা। স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি মুড ভাল রাখতেও সাহায্য করে অশ্বগন্ধা। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী অশ্বগন্ধা।