বাজি পোড়ান, তবে মাথায় রাখুন কিছু জিনিস

বন্ধুর সঙ্গে তুবড়ি, রকেটের ধুন্ধুমার কম্পিটিশন, প্রদীপের আলোয় চকচকে প্রেমিকার মুখের এক ঝলক দেখে নেওয়া, এই না হলে আর কালীপুজো কী। বছরে তো এই একটা দিনই আসে যেদিন মনের সুখে লাগামছাড়া হওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:১৩
Share:

বন্ধুর সঙ্গে তুবড়ি, রকেটের ধুন্ধুমার কম্পিটিশন, প্রদীপের আলোয় চকচকে প্রেমিকার মুখের এক ঝলক দেখে নেওয়া, এই না হলে আর কালীপুজো কী। বছরে তো এই একটা দিনই আসে যেদিন মনের সুখে লাগামছাড়া হওয়া যায়। তবে আপনার আনন্দ যেন এ দিন অন্যের জীবনে অন্ধকার না নিয়ে আসে। বাজি অবশ্যই ফাটাবেন। কিন্তু বাজি পোড়ানোর সরকারি নিয়মগুলো মাথায় রেখেছেন তো? আসুন এক বার ঝালিয়ে নিই নিয়মগুলো।

Advertisement

১। ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দবাজি নিষিদ্ধ। অর্থাৎ চকোলেট বোমা, দোদমার মতো বাজি ফাটানো যাবে না।

২। ‘সাইলেন্স জোন’-এ শব্দ বা আতস, কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। অর্থাৎ হাসপাতাল, নার্সিংহোম, লাইব্রেরি, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া চত্বরে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ।

Advertisement

৩। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা, শব্দ তৈরি করে এমন কোনও বাজি ফাটানো যাবে না।

যদি নিয়ম ভাঙেন:

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন। মাটি হতে পারে কালীপুজোর আনন্দ।

বাজি ফাটানোর সময় ঘটতে পারে বিপদও। তাই মাথায় রাখুন:

১। সুতির জামা-প্যান্ট পড়ুন। ঢিলেঢালা পোশাক পরাই ভাল।

২। কাছাকাছি বালতি ভরে জল ও বালি রাখুন।

৩। বাজির কাছাকাছি শরীর নেবেন না।

৪। আগুন ও ধোঁয়ার থেকে চোখ দূরে রাখুন।

৫। বাজি থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন।

৬। অবোলা প্রাণীদের গায়ে বাজি ছুড়বেন না।

৭। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান।

৮। আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে দমকল (১০১) এবং পুলিশকে (১০০) জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন