প্রতীকী ছবি।
কোন স্পর্শ কেমন, তা চিনে নিতে পাঠ দেওয়া হচ্ছে এখন স্কুল জীবনের শুরু থেকে। মন্দ স্পর্শ টের পেলে কী করবে শিশু, তা-ও যে বুঝে নিতে হবে। না হলে সমস্যার সমাধান হবে কী ভাবে?
সে দিকটা ধরিয়ে দিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৬০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে হয়ে গেল কর্মশালা। শিশুদের সচেতন করা হল ভাল এবং খারাপ স্পর্শের পার্থক্য নিয়ে। একই সঙ্গে খারাপ স্পর্শের মুখোমুখি হলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে, তার ধারণাও দেওয়া হল পড়ুয়াদের।
সম্প্রতি শহরের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে হওয়া ওই কর্মশালায় কার্টুন ফিল্মে প্রজাপতি, পাখি, কুকুরের উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হয় কোনও স্পর্শে বিপদের আঁচ পেলে কী করে তারা। খারাপ স্পর্শের ইঙ্গিত পেলে শিশুরাও তার প্রতিবাদ করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনও এ সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। অনেকটা ওই নির্দেশিকা অনুসরণ করেই কর্মশালায় শিশুদের পাঠ দেওয়া হয়। কর্মশালার সঞ্চালিকা সুনীতা কেডিয়া বলেন, “রাস্তাঘাটে কোনও সমস্যায় পড়লে নিজেরাই যাতে তার মোকাবিলা করতে পারে, শিশুদের সেটুকুই শেখানোর চেষ্টা হয়েছে।”
ওই স্কুলের অধ্যক্ষা অনিতা জর্জ বলেন, “পারিপার্শ্বিক নজরদারি এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা কখনওই শিশুদের সচেতনতা ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না, তাই এই উদ্যোগ।”
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাল-মন্দ স্পর্শ নিয়ে পাঠ দেওয়া হচ্ছে কলকাতা বইমেলাতেও। শিশু সুরক্ষার জন্য পকসো আইন কী এবং অভিযোগ জানানোর নিয়মাবলী সম্পর্কে অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সেখানে। বইমেলার ‘শিশুবন্ধু’ স্টলে এই পাঠ দেবে ‘রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার আয়োগ’। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় এমন স্টল করা হয়েছিল। এই প্রথম বইমেলায় করা হল।’’