আমরা আসলে তাই, যা আমরা খাই। কারণ, আমরা যে ভাবে ভাবি, সে ভাবেই খাই। বৈজ্ঞানিক ভাবে একে বলা হয় নিউট্রিশনাল সাইকিয়াট্রি। যার একটি নতুন গবেষণার রিপোর্ট বলছে, অতিরিক্ত রিফাইন্ড ফ্লাওয়ার, চিনি ও নুন খাওয়ার সঙ্গে অবসাদ ও উত্কণ্ঠার মতো মানসিক সমস্যার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতীয় আয়ুর্বেদে স্বাদের সঙ্গে মানসিক অবস্থা, অনুভূতির সম্পর্কের বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় মশলা, কারির সঙ্গে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক ইন্ডিয়ান ফুড সায়েন্সে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশন অনুযায়ী, যখন আমরা মস্তিষ্ককে ভাল মানের খাবার দিই তখন আমাদের মস্তিষ্কও ভাল ভাবে কাজ করে। ঠিক যে ভাবে বেশি এনার্জির জন্য বা সুস্থ থাকার জন্য শরীরের ভাল মানের খাবারের প্রয়োজন। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত খাবার আমাদের মস্তিষ্ককে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ থেকে রক্ষা করে। আমাদের শরীরে অক্সিজেন ব্যবহারের ফলে যে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি হয় তা মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করতে পারে। যে কারণে মস্তিষ্কে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ হয়।
আরও পড়ুন: কী খেতে ইচ্ছে করছে? বলে দেবে আপনি কেমন আছেন
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার সিরোটোনিন। যা ঘুম ও খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, শরীরের ৯৫ শতাংশ সিরোটোনিন তৈরি হয় খাদ্যনালীতে। খাদ্যানালীর চারপাশে লক্ষ লক্ষ নিউরন রয়েছেআমরা যখন খাবার খাই তখন নিউরন আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্র সেই খাবারকে হজম করার পাশাপাশি আবেগও নিয়ন্ত্রণ করে।