রান্নাঘরের চিমনি পরিষ্কারের কিছু কৌশল আছে। শিখে নিলেই কাজ সহজ হবে। ছবি: সংগৃহীত।
হেঁশেলের চিমনি পরিষ্কার করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝক্কি বলে মনে হয়? কাজ সহজ হতে পারে সঠিক কৌশল জানলে। চিমনি খুব ভাল করে পরিষ্কারের জন্য পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া হয়। তবে দু’-তিন দিন অন্তর যদি সেটি বাইরে থেকে পরিষ্কার রাখা যায়, তা হলে পেশাদারদের ডেকে খুব ঘন ঘন চিমনি পরিষ্কারের দরকার পড়ে না।
চিমনির মডেল বিভিন্ন রকম হয়। প্রথমেই নির্দেশিকাটি পড়ে নেওয়া দরকার, কোন জিনিস তাতে ব্যবহার করা যায়, কোনটি নয়। যে অংশগুলি খুলে পরিষ্কার করা যায়, সেগুলি খুলে ফেলতে হবে।
চিমনির অংশবিশেষ সাবানজলে ডুবিয়ে রাখলে বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার কলে তেল ওঠে বটে, তবে খুব ভাল করে নয়। তেলচিটে ভাব রয়ে যায়। বদলে আর কী ব্যবহার করবেন?
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দিয়ে হেঁশেলের হরেক কাজ হয়। একটি পাত্রে দুই চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। চিমনির যে অংশটি তেল টানে সেটি খুলে পরিষ্কারের সময় মিশ্রণটি মাখিয়ে রেখে দিন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। চিমনির বাইরের অংশটি বা ধাতব অংশটি বেকিং সোডা মিশ্রিত জল স্প্রে করে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
ভিনিগার
সাদা ভিনিগার যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে রান্নার স্বাদ, তেমনই তেল, কালি, গ্রিস পরিষ্কারেও বেশ উপযোগী। এ কাপ জলে ২ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার ভিজিয়ে নিন। সেই জল চিমনির বাইরের অংশ, অর্থাৎ ছাদ বা কোনাগুলিতে স্প্রে করে, ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
বাসন মাজার তরল
বাসন মাজার তরলটিও চিমনি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তেলচিটে ভাব রয়ে গেলে ভিনিগার বা বেকিং সোডা মিশ্রিত জল দিয়ে আরও একবার তা পরিষ্কার করতে হবে।
তবে আধুনিক অনেক চিমনিতেই ‘অটো ক্লিন’ টেকনোলজি থাকে। এই ধরনের চিমনি বোতাম টিপেই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। চিমনি পরিষ্কারের আগে নির্দেশিকা পড়ে নেওয়া জরুরি।