পকেটমারি এড়াতে কিছু অভ্যাস বদলান। তাতেই ফল মিলবে সহজে। ছবি: সুমন চৌধুরী।
টাকা পয়সা হারানোর অভ্যাস আছে আপনার? ভিড় ট্রেনে-বাসে বহু বার পকেটমার হয়েছে বা খোয়া গিয়েছে ব্যাগ? আর ব্যাগ হারানোর পর যে কী হয়রানি হয় তা কে না জানে! শুধু টাকা-পয়সা হারানোই নয়, মানিব্যাগে থাকা নানা দরকারি নথি, ব্যাঙ্কের কার্ড এ সব হারানোর সমস্যা আরও বেশি। চুরির পর তা নিয়ে ব্যাঙ্কে দৌড়োদৌড়ি, থানায় অভিযোগ দায়ের এ সব নিয়েও কম ছুটোছুটি পড়ে না।
সচেতন হলেও ভিড় বাসে-ট্রেনে সব সময় পকেটমারি রুখে দেওয়া যায় না— তা ঠিকই। তবে, কিছু নিয়ম মানলে পকেটমারি হলেও হয়রানি কমবে আপনার। টাকা-পয়সার দিক থেকেও সামলে উঠতে পারবেন ক্ষতি, সঙ্গে নথিপত্র হারালেও সামাল দেওয়া যাবে।
কী কী উপায়ে তা সম্ভব দেখে নিন।
আরও পড়ুন: জিমে না গিয়েই ভুঁড়ি কমান এই সহজ উপায়ে
কৈশোরে থাবা বসাচ্ছে ডিজিটাল-আসক্তি
একসঙ্গে অনেক টাকা-পয়সা রাখবেন না মানিব্যাগে। বরং, একটা হাতব্যাগ বা পাশে ঝোলানো অফিসব্যাগ সঙ্গে রাখুন, সেখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখুন টাকা-পয়সা। মূল মানিব্যাগে দিনের খুব প্রয়োজনীয় টাকাটুকুই রাখুন। যা খোয়া গেলেও খুব ক্ষতি হবে না। অনেককেই ব্যবসার প্রয়োজনে অনেক টাকা একসঙ্গে বহন করার অবস্থা হলে একটু কৌশল অবলম্বন করুন। ব্যাগের বদলে অন্য কিছু ব্যবহার করুন। অনেক টাকা একসঙ্গে বহন করতে হলে টিফিনবক্স বা আলাদা কোনও প্যাকেটে তা নিন। টিফিনবক্স সাধারণত, চুরি যাওয়ার ভয় থাকে না। অনেকেরই অভ্যাস, সব ধরনের কার্ড মানিব্যাগেই রাখা। প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্কের নানা কার্ড রাখতে কার্ড হোল্ডার ব্যবহার করুন। সেটা ফেলে রাখুন ব্যাগের কোনও নির্দিষ্ট জায়গায়। মানিব্যাগে কখনওই নয়। তাতে কার্ড হারানোর ভয় কমবে। ব্যাগের এ দিক ও দিকে খুচরো ছড়িয়ে না রেখে বরং রাখুন মূল মানিব্যাগে। খুচরো বেশি থাকলে ব্যাগ ভারী হয়। কেউ চুপিসাড়ে তুলতে গেলে পয়সার আওয়াজও হয়। এ ক্ষেত্রে সচেতন হয়ে যেতে পারেন। অনেকেই প্যান্টের পিছনের পকেটে রাখেন মানিব্যাগ। ভিড় বাসে-ট্রেনে বা জনবহুল জায়গায় সব সময় খেয়াল রাখা যায় না। তাই প্যান্টের পিছনের পকেটে টাকার ব্যাগ রাখার অভ্যাস বন্ধ করুন। হাতব্যাগে রাখুন তা। হাঁটার সময় এমন ভাবে ব্যাগ নিন হাতব্যাগের চেনের দিকগুলো নিজের সামনের দিকে রাখুন। তাতে সহজেই চেনের মুখগুলোর দিকে নজর রাখতে পারবেন।