ওষুধে টান, সমস্যা ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে রাজ্যে ২৪,২০৯ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। (এটিই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত যে-তথ্যপুস্তিকা প্রতি বছর প্রকাশিত হত, সেই ‘হেল্‌থ অন মার্চ’ তিন বছর ধরে প্রকাশ করছে না স্বাস্থ্য ভবন)।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক না-হয় এই সবে যাত্রা শুরু করেছে আফ্রিকায়। ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়ার যে-ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে এ দেশেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে, বাংলায় সেই ক্লোরোকুইনের ঘাটতি কেন? কবে মিটবে সেই ঘাটতি? এ বারের ম্যালেরিয়া-বিরোধী দিবসে (২৫ এপ্রিল) এ-সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের একাংশ। ওই ওষুধের জোগান নিশ্চিত করতে না-পারলে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে রাজ্যে ২৪,২০৯ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। (এটিই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত যে-তথ্যপুস্তিকা প্রতি বছর প্রকাশিত হত, সেই ‘হেল্‌থ অন মার্চ’ তিন বছর ধরে প্রকাশ করছে না স্বাস্থ্য ভবন)। তার মধ্যে ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৪৩৩। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টর প্রতীপ কুণ্ডু জানান, ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়ায় জ্বর কমাতে ক্লোরোকুইন দেওয়া হয়। সেই ওষুধের সরবরাহ নিয়মিত নয় বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ওই ওষুধের জোগানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ম্যালেরিয়া-বিরোধী দিবসে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, দ্রুত সমস্যার সমাধান না-করলে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।

ক্লোরোকুইন সরবরাহে ঘাটতির কথা স্বীকার করে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ওষুধ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেটা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বরাত দিয়ে যে-ওষুধ পেতাম, প্রস্তুতকারক সংস্থা তা সরবরাহ করছে না। তাই জেলা স্তরে যেখানে মজুত নেই, সেখানে স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিতে বলা হয়েছে। কোথায় ওষুধের ঘাটতি রয়েছে, তার উপরে নজর রাখছি।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, দরপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্লোরোকুইন তৈরির মূল উপাদানের দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই ওষুধ তৈরির খরচও বেড়েছে। কিন্তু দরপত্র ডাকার সময় মূল উপাদানের যা দাম ছিল, তার নিরিখেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ওষুধ সরবরাহ করতে হচ্ছে। এখন তারা পুরনো দামে ওষুধ দিতে চাইছে না। ‘‘সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায়, তা দেখা হচ্ছে,’’ বলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। বস্তি অঞ্চলেও কীটনাশক লাগানো মশারি বিলির কথা ভাবা হচ্ছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই মশারির গায়ে বসলেই মশা মরে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন