শিলিগুড়িতে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠান হল। স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় ঘুরে এলেও কী ভাবে ওই শিশুর শরীরে রোগ সংক্রমিত হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয় জেলাস্বাস্থ্য দফতরের কাছে। পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শহরের নার্সিংহোমগুলিকে নিয়েও তিনি বৈঠক করবেন।
ভক্তিনগরের যে এলাকার বাসিন্দা সোয়াইনফ্লুতে মৃত ওই শিশুকন্যা সেখানে মেডিক্যাল টিম গেলেও রোগ সংক্রমণ নিয়ে তারা স্পষ্ট কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। তবে এর আগেও শিলিগুড়ি শহর এবং মহকুমার অন্যত্র একাধিক জনের রক্তে সোয়াইন ফ্লু’র জীবাণু মিলেছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের দুই চিকিত্সকের শরীরে সোয়াইন ফ্লুর জীবাণু মিলেছে। তার আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিত্সকের সোয়াইন ফ্লুর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তা নিয়েও চিকিত্সক-স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। কেন না চিকিত্সক, স্বাস্থ্য কর্মীদর অনেকেই উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই আইডি ওয়ার্ডে রোগীদের পরিষেবা দিতে যান।
নতুন করে সোয়াইন ফ্লু’র উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আর ভর্তি হয়নি। তবে ফ্লু’র উপসর্গ থাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখনও ৩ জন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের চিকিত্সা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন জনের মধ্যে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত যে দুই চিকিত্সক ভর্তি রয়েছেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা ভাল থাকলে আজ, সোমবার ছুটি দেওয়া হতে পারে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “যা জানার স্বাস্থ্য ভবন থেকে জানানো হবে। আমরা কিছু বলব না।” এই পরিস্থিতিতে জেলা হাসপাতালের সুপার পার্থ দে এবং জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম মণ্ডলকে বদলির নির্দেশ দিলেও তাঁরা অবশ্য এখনও জেলাতেই রয়েছেন। আগের মতোই কাজ করছেন।