বাথরুমে কত ক্ষণ বসেন ব্রিটিশ পুরুষেরা? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব বাড়ছে শৌচালয়ের। কেবল প্রয়োজনীয় কাজটুকু সেরেই বাথরুম থেকে বেরোন না অনেকেই। মানসিক শান্তি খুঁজতেও নাকি বাথরুমে আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা! ২০১৮ সালে ১ হাজার জন ব্রিটিশ পুরুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল যুক্তরাজ্যে। আর সেখানে পুরুষদের উত্তরে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ পায়। ব্রিটিশ পুরুষেরা এক বছরে গড়ে ৭ ঘণ্টা করে সময় কাটান বাথরুমে। আর তার কারণ? নিজের পরিবার, সন্তানদের হইহই, সঙ্গীদের ‘ঘ্যানঘ্যান’ থেকে বাঁচার জন্যই বাড়ির এই বিশেষ কোণে আশ্রয় নেন।
পুরুষদের দাবি, ‘‘আমাদের সকলেরই নিজের জন্য সময় দরকার। এমন একটি জায়গা, যেখানে বাইরের গোটা বিশ্ব থেকে নিজেকে খানিক ক্ষণের জন্য সরিয়ে নেওয়া যায়। আর সেই মুহূর্তগুলির জন্য বাথরুমটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক।’’ কেবল তা-ই নয়, বাড়ির কোনও বিশেষ কাজের দায়িত্ব ঘাড় থেকে নামিয়ে ফেলার জন্য বা ফোনে কথা বলতে হলেও অনেকেই অজুহাত দিয়ে বাথরুমে ঢোকেন। পুরুষদের এক তৃতীয়াংশ বাথরুমে বসে থাকার কারণ হিসেবে এই কারগুলির কথাই স্বীকার করেছেন।
কিন্তু এই সমীক্ষার রিপোর্ট সমাজমাধ্যমে ফের ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাতে একাধিক নেটাগরিকের বক্তব্য, বছরে ৭ ঘণ্টা আদপে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়। বরং সপ্তাহে ৭ ঘণ্টা বললে সঠিক হয়। কেউ কেউ তো তার চেয়েও বেশি সময় ধরে বাথরুমে স্বেচ্ছায় বন্দি হয়ে থাকেন।
একই সঙ্গে ১ হাজার জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। মহিলারাও অনেকে একা সময় কাটাতে বাথরুমকেই বেছে নিয়েছেন। তবে সেই সংখ্যাটি মাত্র ২০ শতাংশ। যদিও বাথরুম পরিষ্কারের কাজে অনেকখানি সময় ব্যয় হয়ে যায় মহিলাদের। ৭২ শতাংশ গৃহস্থবাড়িতে বাথরুম পরিষ্কার করেন বাড়ির মহিলারাই।