Ratan Raajputh

মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল অভিনেত্রীকে! কোন দাওয়াইয়ে সুস্থ হলেন রতন, জানালেন নিজেই

‘সন্তোষী মা’-র অভিনেত্রী রতন জানান, ২০১৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর একেবারেই ভেঙে পড়েন তিনি। মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে। কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ২০:৫১
Share:

কেন অভিনয় থেকে এক প্রকার বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী রতন রাজপুত? ছবি: সংগৃহীত

‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া হে কি জো’ ধারাবাহিকে জনপ্রিয় মুখ তিনি। নিয়মিত ব্লগ লেখেন, ভ্লগও বানান। সমাজমাধ্যমে অনুসরণকারীর সংখ্যাও কম নয় অভিনেত্রী রতন রাজপুতের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জীবনের একটা সময়ে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে জাচ্ছিলেন তিনি। মানসিক অবসাদে ভোগার বিষয় নিয়ে অধিকাংশে সচারচর মুখ খুলতে চান না, অথচ ভক্তদের সামনে অকপট রতন।

Advertisement

‘সন্তোষী মা’-র অভিনেত্রী জানান, ২০১৮ সালে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। আর তার পরেই তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন। মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে। কোনও কাজেই মন বসাতে পারতেন না। সেই কারণেই কি অভিনয় থেকে এক প্রকার বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী? সেই পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দিলেন?

Advertisement

অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন বলেও জানান অভিনেত্রী। সেখানে গিয়ে তিনি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পাশাপাশি কৃষিকাজেও মন দেন। মানসিক উদ্বেগ কাটিয়ে তুলতে তিনি মনোবিদের পরামর্শও নেন। রতনের মতে, কৃষিকাজ তাঁকে নিজেকে অন্বেষণ করতে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেন, ‘‘তিন মাস গ্রামে কৃষিকাজ করায় স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। এই কাজ আমাকে কিছুটা সুস্থ হতেও সাহায্য করেছিল। গ্রামের লোকেরা ভানমুক্ত জীবনযাপন করেন। আমি সেখানে আমার সময়টা খুব ভাল ভাবে উপভোগ করেছি। গ্রাম্য পরিবেশে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি।’’

ইন্ড্রাস্ট্রিতে অভিনয় জীবনের শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না রতনের। ৬৫ বছরের প্রযোজক অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিছানায় ডেকেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ১৪ বছর আগের সেই অভিজ্ঞতার কথা এখনও ভুলতে পারেন না অভিনেত্রী। সে কথাও ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন