কচুর সঙ্গে চুলকানির কী যোগ? ছবি: শাটারস্টক।
কচু খেলে অনেকেরই গলা চুলকায়। কচুমাখা কিংবা চিংড়ি দিয়ে কচুর ডালনা খেতে ভাল লাগলেও চুলকানির ভয়ে অনেকেই এই সব্জিটি এড়িয়ে চলেন। কচুতে থাকে র্যাফাইড। এগুলি গলায় আটকে যায়। ফলে গলা চুলকায়।
কী এই র্যাফাইড? এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যালশিয়াম অক্সালেট। কচুর গাছের মূলে তো বটেই, কাণ্ডে এবং পাতায় এই যৌগ থাকে। এগুলি গাছটির রেচন পদার্থ। এর গড়ন অনেকটা সুচের মতো। তাই খাওয়ার সময়ে এগুলি গলায় বিঁধে যায়। আর প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত উত্তাপে এই র্যাফাইডের বেশির ভাগই গলে যায়। ফলে রান্না করা কচু খেলে গলা চুলকায় না। তবু অনেক সময়ে কিছু কিছু র্যাফাইড অক্ষত থেকে যায় কচুতে। তা গলার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তা-ই নয়, এই র্যাফাইড অনেক সময় রক্তে মিশে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, যা পরবর্তী কালে কিডনিতে পাথর জমার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
এমন হলে কী করবেন?
কী করে সাবধান হবেন কচুর র্যাফাইডের থেকে? কচু খাওয়ার আগে তার গায়ে লেবু বা তেঁতুলের রস লাগিয়ে নিতে পারেন। এগুলিতে যথাক্রমে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড থাকে। সেগুলি র্যাফাইডকে গলিয়ে দেয়। ফলে গলার অস্বস্তির আশঙ্কা তো থাকেই না, কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। শুধু কচু নয়, ওলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তার গায়ে লেগে থাকা র্যাফাইডের সমস্যার সমাধানও করতে পারে লেবু এবং তেঁতুল।
কচু কাটার সময় হাতের চুলকানি এড়াতে কী করবেন?
কচু কাটার সময় চুলকানি হয়, এই সমস্যা এড়াতে হাতে নুন মাখিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া হাতে তেল মেখে নিলেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।