বর্ষায় পোষ্যের পায়ের যত্ন প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
সারমেয়দের পায়ের নীচে নরম তুলতুলে গদির মতো ত্বকের আস্তরণ থাকে। পায়ের এই বিশেষ গঠন তাদের এক স্থান থেকে অন্যত্র যেতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন, এই আস্তরণের জন্য সারমেয়দের পা সর্বদা সুরক্ষিত। কিন্তু আদতে বিষয়টা তা নয়।
কী ধরনের সমস্যা
গরমকালে উষ্ণ মাটিতে পোষ্যের পায়ের থাবার নীচের নরম আস্তরণ পুড়ে যেতে পারে। আবার পোষ্যের পায়ের ফাঁকে বর্ষাকালে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। খেয়াল না করলে তা পোষ্যের নানা রোগের কারণও হতে পারে। বর্ষার জলকাদায় কোনও ধারালো বস্তু পোষ্যের পায়ে গেঁথে যেতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে, তা থেকে বড় কোনও অসুখ হতে পারে। আবার জল-কাদার মধ্যে ঘুরতে পোষ্যের দেহে পোকার সংক্রমণ হতে পারে।
শনাক্তকরণ
পোষ্য সারমেয়রা সাধারাণত পা চাটার মাধ্যমে তাদের অসুবিধার কথা ব্যক্ত করে। তাই পোষ্য যদি বার বার পায়ের নীচের অংশ চাটতে থাকে, তা হলে সাবধান হওয়া উচিত। পোষ্য যদি মাঝে মধ্যে খুঁড়িয়ে হাঁটে, তা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। তা ছাড়া সপ্তাহে তিন বার নিয়ম করে পোষ্যের পায়ের থাবা ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত।
পোষ্যকে সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে?
১) বাজারে এখন পোষ্য সারমেয়র জুতো কিনতে পাওয়া যায়। বাড়ির বাইরে পোষ্যকে জুতো পরিয়ে নিয়ে গেলে, সমস্যা হবে না।
২) পোষ্যদের জন্য তৈরি পা পরিষ্কার করার ওয়াইপস্ পাওয়া যায়। নিয়মিত এই জাতীয় কাপড় দিয়ে পোষ্যের থাবার নীচের অংশ পরিস্কার করা উচিত। তার ফলে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
৩) পোষ্যের থাবার আঙুলের মাঝের লোম ছোট করে কেটে দেওয়া উচিত। তার ফলে সেখানে জল জমবে না।
৪) সম্ভব হলে পা পরিষ্কার করার পর পোষ্যের জন্য তৈরি কোনও ময়শ্চারাইজ়ার দিয়ে থাবার নরম অংশে দিনে এক বার মালিশ করতে হবে। তার ফলে পায়ের নীচের অংশ ফাটবে না এবং নরম থাকবে।
৫) আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকের নানা রোগ হতে পারে। পোষ্যের থাবার খাঁজের ত্বক লাল হলে, সেখানে অ্যান্টিসেপটিক পাউডার দেওয়া উচিত।