Parenting

Parenting Tips: ৫ টোটকা: পুরনো আমলের মনে হলেও এ কালের অভিভাবকদের কাজে লাগবে

বাবা-মায়ের সঙ্গে দু’দণ্ড আলাপচারিতা না হওয়া, নগর জীবনের ইঁদুর দৌঁড়, মোবাইলের বুঁদ হয়ে থাকার মতো বিষয় মোটেই ভাল নয় সন্তানের জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ ১৮:৩৩
Share:

এ কালের অভিভাবকদের জন্য সে কালের টোটকা ছবি: সংগৃহীত

সময়ের সঙ্গে অনেক সামাজিক ধারণাই বদলে যায়। ঠিক সে ভাবে বদলে গিয়েছে সন্তানকে বড় করার ধারণাও। এই বদলের যেমন কিছু কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনই এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলির বদল আদতে ক্ষতি করছে শৈশবের। বাবা-মায়ের সঙ্গে দু’দণ্ড আলাপচারিতা না হওয়া, নগর জীবনের ইঁদুর দৌঁড়, মোবাইলের বুঁদ হয়ে থাকার মতো বিষয় মোটেই ভাল নয় সন্তানের জন্য। এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মুশকিল আসান হতে পারে কিছু পুরোনো দিনের টোটকা।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া: এখনকার ব্যস্ত জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ এমনিতেই কমে গিয়েছে। তাই দিনের কোনও একটি খাবার একসঙ্গে বসে খেলে পরিবারের মেলবন্ধন অটুট থাকে। সন্তানের সঙ্গে কথোপকথনের সুযোগও বাড়ে।

২। সৌজন্য শিক্ষা: মতান্তর কিংবা অসম্মতি জাহির করার প্রকাশ কখনওই অসৌজন্যমূলক হতে পারে না। প্রতিবাদেরও নিজস্ব ভাষা থাকে। বর্তমানে চারদিকে যে ভাবে অসহিষ্ণুতার ঢেউ উঠছে, সেখানে সন্তানকে সৌজন্যবোধের শিক্ষা মা-বাবাকেই দিতে হবে। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়— এ কথাটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

৩। উৎসব-অনুষ্ঠান একসঙ্গে পালন: অধিকাংশ বাবা- মায়েরই অভিযোগ, সন্তানরা এখন মোবাইলে ডুবে থাকে। এই অভ্যাসে বদল আসতে পারে পরিবারের সকলে মিলে ছোটখাটো উৎসব একসঙ্গে পালন করলে। সন্তানের জন্মদিনই হোক না পুজো-পার্বণ, একসঙ্গে পালন করলে সন্তান পাবে লৌকিকতার শিক্ষা।

৪। একসঙ্গে খেলাধুলা: এতে ছোটরা যেমন পাড়া প্রতিবেশীদের চেনার সুযোগ পাবে, তেমনই ঘরের বাইরে সবুজ ঘাসে ছোটাছুটি করলে পরিবেশের সঙ্গেও একাত্মতা তৈরি হবে। উল্টোদিকে বড়দের ক্ষেত্রে, সন্তানের সঙ্গে একটু অল্প বিস্তর হাঁটাহাটি ও খেলাধুলা দূর করতে পারে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা, নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবিটিসের মতো রোগ।

৫। বাড়ির কাজকর্ম: ছোটবেলা থেকেই কিছু কাজ নিজের হাতে করতে দিতে হবে সন্তানকে। কোনও কাজ ছোট নয় বা শ্রমের সুষম বণ্টনের শিক্ষা সন্তানকে দিতে হবে ছোট থেকেই। নিজের বইপত্র, জামাকাপড় গোছাতে শেখা, ঘরের টুকটাক কাজ সন্তানকে করতে দিতে হবে নিজের হাতেই। তবে সে আত্মনির্ভর হবে। আবার মানসিক দিক থেকেও সুস্থ থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন