Parenting Tips

সন্তানের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে, কারণে-অকারণে ক্ষমা চাওয়ার প্রবণতা কমান অভিভাবকরাই

বয়ঃসন্ধির সময় সন্তানদের, তাদের মতো করে বোঝা বা তাদের সমস্যার সমাধান করাটাও অভিভাবকদের শিখতে হবে। আপনার মারের ভয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার এই অভ্যাস কি সন্তানের মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩৭
Share:

ক্ষমা চাওয়ার মনোভাব রেখেও, সন্তানকে অকারণে নত না হওয়ার পাঠ দেবেন কী ভাবে? ছবি- সংগৃহীত

ভুল করলে, তা স্বীকার করে নেওয়া এবং ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। কিন্তু কারণে-অকারণে বার বার ক্ষমা চাওয়া কিন্তু আপনার সন্তানের মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে কন্যাসন্তানদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বয়ঃসন্ধির সময় তারা এমন একটি জগতে বিচরণ করে, যেখানে সিংহভাগ জুড়ে থাকে আবেগ। আবার এমন কিছু ক্ষেত্রে তাদের মনে এমন কিছু যুক্তি আসে, যেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে মতান্তর হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই রকম দোলাচলে নিজের মনের কথা কারও কাছে প্রকাশ করতে না পেরে, বেশির ভাগ সময় নতি স্বীকার করে নেওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করে তারা। ছেলেদের মধ্যে খুব বেশি সমস্যা না হলেও মেয়েরা অনেক সময়ই অবাঞ্ছিত তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাওয়ার মনোভাবের আশ্রয় নিয়ে ফেলে। কিন্তু পরবর্তী কালে বৃহত্তর জীবনে, যা তাদের নানা রকম সমস্যায় ফেলতে পারে।

Advertisement

ক্ষমা চাওয়ার মনোভাব রেখেও, সন্তানকে অকারণে নত না হওয়ার পাঠ দেবেন কী ভাবে?

১) বাড়ি থেকেই অভ্যাস শুরু করুন

বাড়ির মধ্যে এমন পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে আপনার সন্তান নিরাপদ অনুভব করে। সন্তান হিসেবে তার কথা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু আপনারই।

যুক্তি দিয়ে ‘না’ বলুন। ছবি- সংগৃহীত

২) শাসনের ধরন বদলান

কারও মা খুব রাগী, বাবা অনেকটা কাছের। আবার কারও কাছে উল্টো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানের এই ক্ষমা চাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় রাগী বাবা-মায়েদের জন্য। কঠিন নিয়ম, অনুশাসনে থেকে সেই সব সন্তানরা যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ বা বাধ্য হয়ে ওঠে ঠিকই, কিন্তু তাদের ছোট ছোট ইচ্ছে, চাওয়া-পাওয়ার খবর অভিভাবকরা রাখতে পারেন কি? তাই শুধু বাবা-মা হলেই দায়িত্ব শেষ নয়, আপনার সন্তানের মন বুঝে কী ভাবে শাসন করবেন, তা-ও বুঝতে হবে।

৩) যুক্তি দিয়ে ‘না’ বলুন

সন্তানের সব আবদার যে আপনাকে রাখতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। তবে ‘না’ বলার পিছনে কী কারণ, তা বুঝিয়ে বলুন। সন্তানের আবেগ, অনুভূতির কথা মাথায় রেখে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলুন।

৪) নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে শেখান

কারও কথায় ‘হ্যাঁ’ বলার আগে, সন্তানকে বিচার করে দেখতে শেখান। ছোটবেলায় আপনার মত ছাড়া এক পা না ফেললেও একটা সময়ের পর তাকে একা চলতে শিখতেই হবে। তাই কোনও ব্যাপারে ভাল-মন্দ বিচারের বোধ তৈরি হওয়া জরুরি।

৫) ইতিবাচক থাকতে শেখান

জীবনে যেমন পরিস্থিতিই আসুক, অকারণে মাথা নত করা যে খুব একটা ভাল পন্থা নয়, তা ছোট থেকেই শেখান। ছেলেমেয়েদের মনের কথা বলার, নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিন। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে তার সমস্ত কাজে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement