Sara Ali Khan on Relationships

সঙ্গী সম্পর্ককে মান্যতা না দিলেই খুশি সারা! কেন প্রেমের এমন নিয়ম তৈরি করেছেন সইফ-কন্যা

সারা আলি খান কোনও দিন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেননি। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়েও সামনাসামনি দেখা করে মানুষ চেনা, প্রেমে পড়ায় বিশ্বাসী শর্মিলা ঠাকুরের নাতনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ১২:৫০
Share:

সারার কাছে প্রেমের সম্পর্কের সংজ্ঞা। ছবি: সংগৃহীত।

ভেঙে যাওয়া পরিবারের সন্তান। শৈশবেই বাবা-মায়ের সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হতে দেখেছেন। ফলে সম্পর্ক, বন্ধন নিয়ে এক প্রকার উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা কাজ করা খুব স্বাভাবিক। এখন তিনি পূর্ণযৌবনা। সারা আলি খান। জীবনে প্রেম আসছে, প্রেম যাচ্ছে। সম্পর্ক হচ্ছে, সম্পর্ক ভাঙছে। শিখছেন, কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয়, কোন মানুষ তাঁর জন্য সঠিক, কোন মানুষ নন। সইফ আলি খানের কন্যা নিজের মতো করে একখানি সূত্র তৈরি করে নিয়েছেন। আদৌ মানুষটি তাঁর জন্য সঠিক কি না, তা বোঝার জন্য একটি তত্ত্ব মেনে চলেন সারা।

Advertisement

সঙ্গী যদি লোকসমাজে তাঁদের সম্পর্ককে মান্যতা দিতে না চান, তা হলে সারার জন্য তিনি সঠিক। শুনে অবাক লাগবে। কারণ এই আচরণকে অধিকাংশ মানুষ সম্পর্কের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ বা লাল সতর্কতা বলে গণ্য করেন। কিন্তু সারার কাছে এটিই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু কেন?

সারা আলি খান এবং অমৃতা অরোরার সঙ্গে সারা।

অমৃতা অরোরার কন্যা বলছেন, ‘‘যদি আমার সঙ্গী আমাদের সম্পর্ক স্বীকার করতে রাজি না হয়, তা হলে আমি তাঁকে ১০৮টি গ্রিন ফ্ল্যাগ দিয়ে দিতে পারি। আমার কাছে এই পরিস্থিতি খুব বিরল আসলে। আমি চাই না, আমার সঙ্গী পুরুষ বলে সমস্ত বিল দেবে। আমরা ভাগাভাগি করে নেব। তা ছাড়া সে যদি আমায় সারা ক্ষণ জিজ্ঞাসা করে, আমি কোথায় আছি না আছি, বা জিপিএসের মাধ্যমে আমাকে ট্র্যাক করে অথবা আমার অবস্থান বার বার প্রমাণ করতে হয়, তা হলে সেটার মধ্যে আমি নেই।’’

Advertisement

সুতরাং অতিরিক্ত আঁকড়ে ধরা বা সম্পর্কে পুরোপুরি উৎসর্গ করে দেওয়ার রীতিতে বিশ্বাসী নন সারা। খোলামেলা পরিবেশে নিঃশ্বাস নিতে চান তিনি। বিশেষ করে একে অপরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার পরই পুরুষটির মধ্যে যদি নিয়ন্ত্রণ করার বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। সম্ভবত আগের কোনও সম্পর্কে তিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে ঠেকে শিখেছেন। অথবা মা-বাবার ব্যর্থ বিয়ের উদাহরণ অবচেতনে থাকে। তাই মান্যতা দেওয়া, সম্পর্ক স্বীকার করতে চাওয়া ইত্যাদিকে তিনি ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। একটি সীমানা এঁকে নিয়েছেন। যা পেরোলে বিপদ।

তবে প্রেমের সম্পর্কে একে অপরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন সারা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেকের ভালবাসা আলাদা ধরনের হয়। সঙ্গী আপনাকে সে ভাবে ভালবাসবে না, ঠিক যে ভাবে আপনি ভালবাসা পেতে চান। কিন্তু যত ক্ষণ তারা তাদের সেরাটুকু দিচ্ছে, তত ক্ষণ সব ভাল।’’ সারা মনে করেন, তিনি মানুষকে আরও ভাল ভাবে বুঝতে শিখেছেন। এখন তিনি অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন বলে বিশ্বাস সারার।

সারা কোনও দিন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেননি। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়েও সামনাসামনি দেখা করে মানুষ চেনা, প্রেমে পড়ায় বিশ্বাসী শর্মিলা ঠাকুরের নাতনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement