Celebrity Kids Rath Yatra 2025

রথ উদ্‌যাপনে টলিপাড়ার খুদেরা,পার্বণের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় প্রয়োজন, বলছেন তিন অভিনেত্রী

পার্বণের সঙ্গে সন্তানদের পরিচয় করাতে, সুন্দর স্মৃতি তৈরি করাতে, ঘরেই আয়োজন করছেন রথযাত্রার। কেন সন্তানদের নিয়ে উৎসব, উদ্‌যাপন প্রয়োজন, তা বোঝাচ্ছেন টলিউডের তিন মা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ০৯:৫৩
Share:

রথযাত্রায় সন্তানদের অংশগ্রহণ নিয়ে বলছেন কনীনিকা, শ্রীময়ী এবং অনিন্দিতা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রশিতে টান দিলেই নড়বড়ে চাকা ঘুরিয়ে চলতে শুরু করে রথ। আর তা দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস কচিকাঁচার দলের। তারাও পাশে পাশে নড়বড়ে পা নিয়েই চলতে থাকে। রথের দিনে কাঠের ওই ছোট্ট কাঠামো সাজিয়ে দু’-তিনটি বাড়ি ঘুরে আসা, মিষ্টি খেয়ে আসা, এক-দু’পয়সা থুরি টাকা প্রণামী নিয়ে বাড়ি ফেরা, এই স্মৃতি রয়ে যাবে বড় হয়ে যাওয়ার পরও। পার্বণের সঙ্গে শিশুদের আত্মীয়তা না বাড়ালে স্মৃতি তৈরি হবে কী ভাবে? তাই টলিপাড়ার তিন মা জানাচ্ছেন, রথের দিনে কেন বাড়ির ছোটদের জন্য রথের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

Advertisement

৬ বছরের অন্তঃকরণা ওরফে কিয়ার জন্য প্রতি বারই মা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় রথ সাজান। এ বারও মা-মেয়ে মিলে রথ সাজিয়ে ঘরে-বাইরে তা টানবেন। কনীনিকা বলছেন, ‘‘প্রতিটি মধ্যবিত্ত বাঙালির বাড়িতে যে ভাবে রথ উদ্‌যাপন হয়, আমরাও তাই করি। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে পুজো করা হয়। আমার বাড়িতে নারায়ণ আছেন, তাই প্রসাদও দেওয়া হয়। আর কিছু না। কিয়াও এ দিন খুব সাজগোজ করে, তা নয়। ছোট করেই সব কিছু হয়। কিন্তু এতটুকুও জরুরি। লোকে ভাবে, আমরা অভিনয় করি মানে আমাদের সন্তানেরা সাধারণ জীবনযাপন করে না। তা তো নয়। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির শিশুদের মতোই বড় হচ্ছে ও। তাই এই অভিজ্ঞতাগুলোও দরকার।’’

শ্রীময়ী চট্টরাজের ৭ মাসের মেয়ে কৃষভি খুব মিশুকে। যে কারও কোলে গিয়ে আদর খেতে রাজি সে। উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের সময়ে ছোট ট্রেকিংয়ের পথে গাড়িচালকের কোলেই কাটাল সে। মা-বাবার কাছে যাওয়ার বায়না নেই। বাবা কাঞ্চন মল্লিক মেয়েকে কাছছাড়া করতে ভয় পেলেও, মা শ্রীময়ী এ বিষয়ে বেশ সাহসী। তিনি বলেন, ‘‘আমি অত আতুপুতু করি না বাবা। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়েই তো বড় হবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আর সে কারণেই দিঘার স্নানযাত্রা, রথেযাত্রায় রথ টানা, এ সবই মেয়েকে নিয়ে করতে চাই।’’ কাঞ্চনের বাড়়িতেও জগন্নাথের মূর্তি রয়েছে। তা‌ই পুজো হবে বড় করেই। ভোগ রান্না করবেন শ্রীময়ী। বাড়িতে রথ আছেই। তা সাজানো হবে মেয়ের জন্য। মেয়েকে কোলে নিয়ে রথের দড়ি ধরে অল্প কয়েক পা হেঁটে নতুন পার্বণের সঙ্গে পরিচয় করাবেন মা-বাবা।

Advertisement

অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর মেয়ের ৪ মাসও বয়স হয়নি। কিন্তু ছোট থেকেই কিছু অভ্যাস প্রয়োজন বলে মনে করেন নতুন মা অনিন্দিতা। তাই রথ সাজানোর ইচ্ছে মায়ের। কিন্তু সদ্য অনিন্দিতার স্বামী সুদীপ সরকার পিতৃহারা হয়েছেন। তাই খুব ঘটা করে কিছু করার মতো মন নেই তারকাদম্পতির। তাও সন্তানের হাতে রথের দড়ি ছোঁয়ানোর ইচ্ছে রয়েছে। অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘৪ মাসের শিশুর স্মৃতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু আমরা সারা দিন ওর সঙ্গে কথা বলি। এই শব্দগুলোর সঙ্গে ওর পরিচয় ঘটে। আমাদের কথার সুরগুলো ধরে। সুর ধরে আওয়াজ করে। সে সব মাথায় রেখেই পারিবারিক, সামাজিক ঐতিহ্যগুলোর সঙ্গে ওকে অভ্যস্ত করা। এমন ছোটবেলাই ওকে দিতে চাই, বড় হয়ে যেটাই ওকে নস্টালজিক অনুভূতি এনে দেবে।’’

একরত্তিদের জন্য রথের সজ্জা, রং ইত্যাদি খুবই আকর্ষণীয় বিষয়। তার উপর বাড়িতে লোকজন, খাওয়াদাওয়া, পার্বণের আনুষঙ্গিক দিকগুলির জন্যই অপেক্ষা থাকে ছোটদের। তাই প্রত্যেক পার্বণ নিজেদের সামর্থ্য মতো উদ্‌যাপন করা খুব দরকার। তাতে সামাজিক পরিবেশে মেলামেশা করতে পারে সন্তানেরা, সুন্দর স্মৃতি তৈরি হতে পারে তাঁদের জীবনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement