প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।
ছোটরা কার্টুন দেখতে পছন্দ করে। কখনও কখনও তা বিনোদনমূলক, আবার কখনও তা শিক্ষণীয়ও হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু শিশুরা কত ক্ষণ কার্টুন দেখছে, তার উপর নির্ভর করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য।
কার্টুনের উপকারিতা
কার্টুন দেখার মাধ্যমে ছোটরা অনেক বিষয় সহজেই শিখতে পারে। যেমন ভাষা, রং বা কোনও সমস্যার সমাধান সম্পর্কে কার্টুন তাদের ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি, কার্টুনের মাধ্যমে অল্প বয়সে গল্প শোনার প্রতি তাদের আকর্ষণ তৈরি হতে পারে।
সমস্যা কখন
১) বিভিন্ন কার্টুনের গল্পের গতিপথ বহু রকমের হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুতগতিসম্পন্ন কার্টুন একটানা ৯ মিনিটের বেশি দেখলে শিশুদের একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। কখনও কখনও তা তাদের সমস্যার সমাধানে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
২) ২ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে যদি স্ক্রিন টাইম বেশি হয়, তা হলে অনেকেই কথা বলা, স্মৃতি সংরক্ষণ বা সামাজিক আদানপ্রদানের বিভিন্ন রীতি দেরিতে আয়ত্ত করে।
৩) অনেক সময় অতিরিক্ত কার্টুন দেখার ফলে ছোটরা পছন্দের চরিত্রদের অনুকরণ করতে শুরু করে। তার ফলে তাদের ব্যবহার বা কথা বলার ভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে পারে। কখনও কখনও কাল্পনিক এবং বাস্তব জগতের মধ্যে পার্থক্য করতেও তাদের সমস্যা হতে পারে।
৪) কার্টুন দেখার মাধ্যমে ছোটদের দৈনিক স্ক্রিন টাইমও বাড়তে থাকে। তার ফলে অনেক সময়ে তাদের মানসিক জগতে পরিবর্তন ঘটতে পারে। ছোটদের মনে উদ্বেগ বাড়তে পারে। আবার অনেকের মধ্যে মুখচোরা স্বভাব বাড়তে পারে। সারা ক্ষণ কার্টুনই তাদের মুখে তখন হাসি ফোটায়। ফলে খেলাধুলো বা অন্যান্য সামাজিক কার্জকর্মে তাদের আগ্রহ কমতে পারে।
সমতা এবং সুস্থতা
১) কার্টুন অনেক সময়ে হিংসাত্মক হতে পারে। তাই ছোটদের জন্য বিষয় বড়দেরই নির্বাচন করে দেওয়া উচিত। ধীর গতির শিক্ষামূলক কার্টুনই তাদের দেখার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
২) যে সমস্ত শিশু এখনও স্কুলে প্রবেশ করেনি, তাদের ক্ষেত্রে দিনে ১ ঘণ্টার বেশি কার্টুন দেখতে দেওয়া উচিত নয়।
৩) কার্টুনের পাশাপাশি ছোটদের গল্প করা, বা বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলাধুলো করার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
৪) কাল্পনিক এবং বাস্তব জগৎ সম্পর্কে ছোটদের স্পষ্ট ধারণা তৈরির জন্য তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা উচিত। ছোটদের শান্ত রাখতে সব সময় কার্টুনকে ব্যবহার করা উচিত নয়।