Love at First Sight

মেট্রোয় পাশের আসনে রাখা ব্যাগ সরিয়ে বসতে দিয়েছিলেন সহযাত্রীকে, আলাপ গড়াল বিয়েতে

প্যারিসের মেট্রোয় পাশের আসনে রাখা ব্যাগ সরিয়ে জনৈক অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে বসতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। সেখানেই প্রেমে পড়ে গেলেন দু’জনে। প্রণয় গড়াল বিয়েতেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৪৪
Share:

এক পলকের দেখা থেকে শুভদৃষ্টি! প্রতীকী ছবি

ভেবেছিলেন, তিন দিনের বেশি থাকবেন না প্যারিসে। কিন্তু প্যারিসের মেট্রোয় কামরাতেই এক তরুণী সন্ধান পেলেন মনের মানুষের। মেট্রোর সেই এক পলকের একটু দেখা আরও একটু বেশি হতে হতে শেষ পর্যন্ত গড়াল প্রেমে। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত দুই তরুণ-তরুণীর এ হেন প্রেমের গল্প এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নেটমাধ্যমে।

Advertisement

তরুণীর নাম অ্যান্ডি। জন্ম হাইতিতে হলেও বেড়ে ওঠা অমেরিকায়। যখন এই কাণ্ড ঘটে, তখন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করেছিলেন তিনি। পড়াশোনা থেকে ছুটি পেতেই অ্যান্ডি ঠিক করেন, ইটালি, গ্রিস, মিশর এবং ভারত ঘুরে আসবেন। সেই ভ্রমণ থেকে ফেরার পথেই প্যারিসে এক বন্ধুর কাছে গিয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল, দিন তিনেক থাকবেন সেখানে।

প্যারিসে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে মেট্রোয় ওঠেন তিনি। সিটে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন প্রথমে। হঠাৎ করেই তাঁর চোখ যায় উল্টো দিকে বসে থাকা এক তরুণের দিকে। প্রথম দেখাতেই তাঁকে মনে ধরে অ্যান্ডির। একটানা বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। আচমকা ওই তরুণও ফিরে তাকান তাঁর দিকে। চোখে চোখ পড়ে যায়।

Advertisement

অ্যান্ডি ও স্টিভেন। ছবি: ডাইট্রাভলস

সংবাদমাধ্যমে অ্যান্ডি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাগটি পাশের আসনে রাখা ছিল। অ্যান্ডি জানান হঠাৎ আনমনে সেই ব্যাগটি নীচে নামিয়ে রাখেন তিনি। সিট ফাঁকা হতেই উল্টো দিক থেকে তাঁর পাশে এসে বসেন ওই তরুণ। কথোপকথন শুরু হয় দু’জনের। তরুণ বলেন, তাঁর নাম স্টিভেন। তিনিও জন্মসূত্রে আফ্রিকার অধিবাসী হলেও পড়াশোনার জন্য প্যারিসে থাকেন। মেট্রোর আলাপচারিতার পর ফোন নম্বর চালাচালি হয় দু’জনের মধ্যে। পরে ফোন মারফতই চলতে থাকে কথা। অ্যান্ডি দেশে ফিরে গেলেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। ক্রমেই ভাল লাগা পরিণত হয় ভালবাসায়, শেষ পর্যন্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement